দেশ লিড নিউজ

বিহারে প্রথম দফার ভোট শুরু, টুইট প্রধানমন্ত্রীর

বিহারে শুরু হল বিধানসভা নির্বাচন। সকাল থেকেই ভোটারদের লাইন চোখে পড়েছে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে। প্রথম দফায় ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে ৭১টি আসনের প্রার্থীর। ৭১টি আসনে নীতিশ কুমার মন্ত্রিসভার ৮ সদস্যের ভোট নির্বাচন। যার মধ্যে চারজনই ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। বাকি জন সংযুক্ত জনতা দলের। কোভিড নিয়ম মেনে বিহারবাসীকে ভোটদানের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বুধবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা গয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রেম কুমার, জেহানাবাদের প্রার্থী তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা, তফশিলি জাতি–উপজাতি উন্নয়ন মন্ত্রী তথা চৈনপুর কেন্দ্রের প্রার্থী ব্রিজ কিশোর এবং বিহারের অর্থমন্ত্রী বিজেপি প্রার্থী রাম নারায়ণ মণ্ডল।
২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে প্রথম দফায় বুধবার ৭১টি আসনের ভোটগ্রহণ চলছে বিহারে। তার মধ্যে ৩৫টি আসনে লড়ছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড। তাদের শরিক বিজেপি লড়ছে ২৯টি আসনে। জেডিইউ যে ৩৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, তার প্রত্যেকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে চিরাগ পাসওয়ানের দল এলজেপি। তেজস্বী যাদবের দল আরজেডির প্রার্থী লড়ছেন ৪২টি আসনে।
আজ সকালে বিহার ভোট নিয়ে নরেন্দ্র মোদী প্রথম টুইট করেন। তিনি জানান, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আজ প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ। কোভিড সম্পর্কিত সতর্কতা অবলম্বন করে আমি সকল ভোটারকে গণতন্ত্রের এই উৎসবে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করছি। দুরত্ব বিধি মেনে চলুন। পাশাপাশি মাস্ক পরুন। মনে রাখবেন, আগে ভোট দিন, তারপরে জলপান! এখানে শরিক কংগ্রেস লড়ছে ২০টি আসনে। ৬ মন্ত্রী ও একজন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী–সহ বহু হাইপ্রোফাইল প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে বুধবার।
ভোট চলাকালীন ঔরঙ্গাবাদের ধীবরা এলাকায় উদ্ধার হয় দুটি বিস্ফোরক। সেই বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করেছে সিআরপিএফ। প্রতিটি বুথে রাখা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে যথাক্রমে ৩ ও ৭ নভেম্বর। ফল প্রকাশিত হবে ১০ নভেম্বর। বুধবার লড়াইয়ের রয়েছেন ১,০৬৬ প্রার্থী। করোনা সতর্কতা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মেনেই সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। করোনা রুখতেই প্রতিটি বুথে ভোটার সংখ্যা সীমিত রাখা হয়েছে ১০০০-১৬০০ মধ্যে। ইভিএম স্যানিটাইজ করা হচ্ছে কিছুক্ষণ পরপরই। প্রতিটি বুথে থাকবে থার্মাল স্ক্যানার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবানের ব্যবস্থা।