প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর প্রস্তুতি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা–সহ একাধিক দাবি নিয়ে এবার সোচ্চার হয়েছেন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীরা। দু’দিন আগেই তাঁরা আধপেটা খাওয়ার জুটছে বলে অভিযোগ করেছেন। তবে তাঁরা প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
এবার নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের সময় কোনও ভোটকর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এই দাবিতে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।
তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি ভোটকর্মীর জন্য বিমার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভোটের আগে তাঁর সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে হবে। ভোট মিটে যাওয়ার পর কর্মীদের বাড়ি ফেরার সময় উপযুক্ত নিরাপত্তা দিতে হবে। বাড়িতে অসুস্থ বাবা–মা থাকলে বা নির্ভরশীল শিশু থাকলে মাকে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। আর বিশেষভাবে সক্ষমদের ছাড় দিতে হবে ভোটের কাজে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখেই ভোটের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই নির্বাচন নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জের। বাংলা নির্বাচন হতে চলেছে মোট ৮ দফায়। শুরু হবে ২৭ মার্চ এবং শেষ ২৯ এপ্রিল। সব রাজ্যেই ভোট গণনা ২ মে।
