রাত পোহালেই কলকাতা কর্পোরেশনের ভোট। প্রচার পর্ব সমাপ্ত। তার আগে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে পুলিশের রুটমার্চ। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন করতে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে শান্তির ভোট সম্পন্ন করতে বদ্ধ পরিকর প্রশাসনও৷পাশাপাশি, এলাকায় বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সল্টলেকের পরিবেশ ভবনের সামনে চলছে নাকা চেকিং৷ সল্টলেক থেকে কলকাতা ঢোকার সমস্ত কানেক্টরে চলছে নাকা চেকিং। কোনও বহিরাগত বা কোনও অসাধু ব্যক্তি যাতে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এলাকায় ঢুকতে না পারে সেজন্য সল্টলেক থেকে কলকাতা ঢোকার এই সমস্ত এক্সিট পয়েন্ট গুলোতে নাকা চেকিং করা হচ্ছে বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে।
কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কলকাতা পুলিশকে সহযোগিতা করতে নেমেছে বারুইপুর পুলিশ জেলাও। তাই কলকাতা পুরভোটের প্রাক্কালে কলকাতা সংলগ্ন বারুইপুর পুলিশ জেলার নরেন্দ্রপুর, ভাঙর ও কাশীপুর থানা এলাকার সমস্ত এন্ট্রি পয়েন্টে শুক্রবার রাত ভোর চলল গাড়ি চেকিং এবং নাকা তল্লাসী। ভোটের বিষয় মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোটের আগে কলকাতায় কোনও কুখ্যাত দুস্কৃতি ঢুকছে কিনা ও কোনও গাড়িতে করে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা বহন করা হচ্ছে কিনা সেই দিকে কড়া নজর রয়েছে পুলিশ কর্তাদের। শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান৷
কলকাতা পুরভোটে থাকছে ২৩ হাজার পুলিশ। ৫০ জায়গায় নাকা তল্লাশি। ২০০টি পুলিশ পিকেট। প্রস্তুত ১৮টি স্পেশাল ক্যুইক রেসপন্স টিম। নজরদারি চলবে জলপথেও।