ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

অশান্ত শান্তিনিকেতন

পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল। আর তাকে কেন্দ্র করে গত দু’‌দিন ধরে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী। ভাঙচুর পর্যন্ত চলে রবি ঠাকুরের প্রাঙ্গণে। অশান্তির পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। বিশ্বভারতী নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে টুইটারে সরব হন রাজ্যপাল। তিনি জানান, ‘‌বিশ্বভারতীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সবরকম পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’‌
জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই শনিবার মাঠে পাঁচিল তোলার কাজ শুরু হয়। অভিযোগ, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঠিকাদার কর্মীদের মারধর করেন। পাঁচিল তোলার কাজ বন্ধ করে দেন। এরপরই সোশ্যাল মাধ্যম থেকে শুরু করে বোলপুর শহরবাসীর মধ্যে পাঁচিল তোলার বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য নিজে উপস্থিত থেকে হাজার জন বিশ্বভারতীর কর্মীকে নিয়ে ফের পাঁচিল তৈরির কাজ শুরু করতে দেখা যায়। আজ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে একটি জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ১০ হাজারের বেশি লোক আজ ঘটনাস্থলে জমায়েত করে। অভিযোগ, জমায়েত চলাকালীন নির্মীয়মাণ পাঁচিল এবং বিশ্বভারতীর পক্ষে তৈরি অস্থায়ী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়। লুঠপাটও চালানো হয়। মেলার মাঠে প্রবেশের যে গেটগুলি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আগেই বন্ধ করে দিয়েছিল, সেগুলিও ভেঙে ফেলা হয়।
এবার এই বিক্ষোভের মধ্যে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউরি–সহ একাধিক শাসকদলের কর্মীকে। যদিও বিধায়কের দাবি, তিনি বিশ্বভারতীর প্রাক্তন ছাত্র ও বোলপুরবাসী হিসেবে এটার বিরোধিতা করতে উপস্থিত হয়েছেন। এই ঘটনায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে। কারণ ঘটনাস্থলের পাশেই শান্তিনিকেশন থানা। সেখানে পুলিশের কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।