ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে সুন্দরবন–সহ দুই ২৪ পরগণায় নদীবাঁধগুলির যে কী অবস্থা সে তো প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী দেখে গিয়েছেন। কিন্তু তারই মধ্যে নতুন একটি আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেটি হল ভরা কোটালের আতঙ্ক। যা বাঁধ উপচে গ্রামের ভেতরে যে কটি বাড়িঘর টিকে আছে তাতে ঢুকে পড়তে পারে। এই আশঙ্কায় এখন দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
জানা গিয়েছে, আগামী ৫ জুন ভরা কোটাল। হাতে আর মাত্র চারদিন। অতীতে কোটালের সময়ে দেখা গিয়েছে যে বাঁধ উপচে সমুদ্রের জল ঢুকেছে গ্রামে। বিঘার পর বিঘা ভাসিয়ে দিয়েছে নোনা জল। এবার তো আমফানের পর বাঁধ এমনিতেই দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এখনও তা মেরামত করে ওঠা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তরা এখন ক্ষত সারিয়ে উঠতে পারেনি। সরকারি সাহায্য মুখে শুনেছেন। হাতে পাননি বেশিরভাগ গ্রামবাসী বলে অভিযোগ। তাই কী হবে ভেবেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাচ্ছেন আমফান দুর্গতরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই ভেঙেছে সাড়ে ৬৬ কিলোমিটার নদীবাঁধ। ১৪৪টি ছোট বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অবস্থা আরও খারাপ। ফলে দুই জেলায় কোটালের জল গ্রামে ঢুকে আবারও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সেই আশঙ্কায় এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গ্রামবাসীদের। এখন এই
ক্ষতিগ্রস্ত নদীবাঁধ অঞ্চল ঘুরে দেখছেন সেচ দপ্তরের কর্তারা। বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গা ভরাতে আপাতত বালির ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।