ফের শিরোনামে বিশ্বভারতী। ১০ ঘন্টা ঘেরাও বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পড়ুয়াদের ভর্তি না নেওয়া, আদালতের নির্দেশ অমান্য করা সহ একাধিক অভিযোগ এনে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপাচার্যকে ঘেরাও করে পড়ুয়ারা৷ ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, আমাকে হেনস্থা করা হয়েছে’ -বলে অভিযোগ উপাচার্যের।
বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কর্মীদের বড় অংশের বিরোধ অব্যহত৷ সদ্য পূর্বের আন্দোলনকারীরা পড়ুয়াদের ভর্তি না নেওয়া, গবেষণারত পড়ুয়াদের পাঠে বাধা দেওয়া, এমনকি আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ তুলে ঘেরাও করা হয় উপাচার্যকে৷ বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজ দপ্তরেই ঘেরাও করা হয় উপাচার্যকে৷ পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়৷ উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা উপাচার্যকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে পড়ুয়াদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তবে ১০ ঘণ্টা পর ঘেরাও–মুক্ত হন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদিন রাত আড়াইটে নাগাদ নিজের কার্যালয় থেকে বেরন উপাচার্য।
পড়ুয়াদের মধ্যে সোমনাথ সৌ, মীনাক্ষী ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা উপাচার্যের পদত্যাগ চাই। উনি আদালতের নির্দেশ মানেন না, ভর্তি নিচ্ছেন না৷ আমরা বলতে গেলে উনি নিরাপত্তারক্ষীকে ছাত্রছাত্রীদের উপর গুলি চালাতে বলেন।”