দেশ ব্রেকিং নিউজ

জামাইষষ্ঠীর আগে চড়া বাজারদর

জামাইষষ্ঠীর আগে চড়া বাজারদর হওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। বিশেষ করে শ্বশুরের। কারণ জামাই–বাবাজীবনকে খাওয়াতে হবে নানা পদ। অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আগুন। তার উপর করোনায় বিধিনিষেধে ঘাটতি রয়েছে জোগানেও। এই অবস্থায় জামাইকে রেঁধে খাওয়াতে পকেটে টান পড়তে পারে বাঙালির। কারণ আগুন বাজারদর। শহর থেকে জেলা—সর্বত্র শাক–সবজি–মাছ–মাংস–ফল ধরা যাচ্ছে না। ধরলেই যেন ছ্যাঁকা লাগছে।

শহর থেকে জেলা— বাজারে কেমন দাম চলছে, দেখুন একনজরে। উচ্ছে–৮০ টাকা কেজি, ঝিঙে–৪০ টাকা কেজি, পটল–৪০ টাকা কেজি, বরবটি–৪০ টাকা কেজি, ডাঁটা–১৫০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গে–৪০ টাকা কেজি, পেঁপে–৪০ টাকা কেজি, ফুলকপি–৪০ টাকা এক পিস, কাঁচালঙ্কা–৬০ টাকা কেজি, আদা–৮০ টাকা কেজি, ভেন্ডি–৪০ টাকা, বেগুন–৬০ টাকা, টমেটো–৩০ টাকা কেজি, শসা–৫০ টাকা কেজি, আলু–১৪ টাকা কেজি এবং পিঁয়াজ–৩৫ টাকা কেজি।

দাম বেড়েছে লাল শাক, পালং শাক, ডাটা, বেগুন, লাউ, শশা, ধনেপাতার মতো সবজির। সবজি ব্যবসায়ীদের মতে, সমস্ত সবজি সঠিক দরেই বিক্রি করছেন তাঁরা। কিন্তু বাজারে গিয়ে মাথায় হাত দিচ্ছেন ক্রেতারা। কারণ পকেটে টান পড়ছে। জামাইষষ্ঠীর আগে চড়া মাছবাজারও। ইলিশ বনাম চিংড়ির লড়াই বাজারেও। ইলিশের দাম ১৫০০ টাকা প্রতি কেজি। পিছিয়ে নেই চিংড়িও। কেজি প্রতি চিংড়ির দর ১২০০ টাকা। এই দাম এখন দেওয়ার মতো অবস্থায় সবাই নেই। গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকা কেজি, পমফ্রেট ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি এবং ভেটকি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে।জামাইষষ্ঠীর দিন মাছের দাম আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।