যে দস্যুর গর্জনে এক সময় কাঁপত তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটকের বিরাট অঞ্চল। সেই চন্দন কাঠের চোরা কারবারি দস্যু বীরাপ্পনকে ধরতে তিন রাজ্যের পুলিশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল একটি টাস্কফোর্স। ১৫০টি খুনের ঘটনার সঙ্গে যোগসাজশ ছিল বীরাপ্পনের। অথচ তার মেয়ে বিজেপি’র গুরুত্বপূর্ণ পদে এলো। জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে তাই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বীরাপ্পনকে ২০০৪ সালে গুলি করে মারে পুলিশ। চন্দন দস্যু সেই বীরাপ্পানের মেয়ে বিদ্যা বীরাপ্পন এখন তামিলনাড়ু বিজেপি’র যুব মোর্চার সহ–সভাপতি! তবে আইনে স্নাতক হয়েছেন বিদ্যা। বর্তমানে তামিলনাড়ুর কৃষ্ণাগরিতে একটি স্কুল চালান তিনি। সঙ্গে সমাজসেবাও। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপিতে যোগ দেন বিদ্যা। রাজ্য বিজেপি গত কয়েক মাসে তাঁর সাংগঠনিক কাজে সন্তুষ্ট।
সূত্রের খবর, আগামী বছরে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এরকম এক অবস্থায় দলের যুব শাখার ওই পদে এনে রাজ্যে শক্তি বাড়াতে চাইছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের শিকড় এখানে দুর্বল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে একটা বড় চমক দেওয়ার চেষ্টা করল রাজ্য বিজেপি। রাজ্য বিজেপি বিদ্যাকে ময়দানে নামিয়ে দিলেও তাঁর বাবার পরিচয় তাঁর চলার পথে বাধা হবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিদ্যা অবশ্য তাঁর বাবাকে অপরাধী বলতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, সেই সময়কার সামাজিক পরিবেশ তাঁকে ওই পথে ঠেলে দিয়েছিল।