কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আন্দামান, দাদরা-নগর-হাভেলি, চণ্ডীগড়, ঝাড়খণ্ড, লাদাখ, লাক্ষাদ্বীপের মতো রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেও মৃত্যুর সংখ্যা ছিল শূন্য। কিন্তু টিকাকরণের গতি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্র। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের প্রায় সাড়ে ৯৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ককে টিকা দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এদিকে, গোটা দেশের ৯৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ৯ হাজার ৫৯৬ জনকে করোনা টিকা দেবে বলেই ঠিক করেছে মোদী সরকার। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ১৮ ঊর্ধ্ব ৭ কোটি ৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ২৩ জন টিকা পাবেন। টিকার কোনও অভাব হবে না বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক বারবার আশ্বাস দিলেও রাজ্যগুলির ভ্যাকসিন ঘাটতির অভিযোগ কমছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৪০ কোটিরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলির হাতে রয়েছে প্রায় আড়াই কোটি ডোজ। তাই রাজ্যগুলিকে যেমন টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে, একইভাবে কোভিড বিধি কড়া রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন। শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, বিহার, দিল্লি, রাজস্থানের মতো বিরোধী দলের শাসনে চলা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
রাজ্যে রাজ্যে কমছে কোভিড বিধির কড়াকড়ি। খুলছে দোকান, বাজার। বাড়ছে করোনাভাইরাসের ‘ডেল্টা’ ভ্যারিয়েন্টের দাপট। তাই এই পরিস্থিতিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আটকানো কেন্দ্রের কাছে চ্যালেঞ্জ। বহু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার পরেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণ আটকানো যাচ্ছে না বলেই রিপোর্ট দিয়েছে আইসিএমআর। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে মৃত্যু অনেকটাই রোখা গিয়েছে।