রাজ্য

টিকাকরণে রেকর্ড গড়ল বাংলা

দৈনিক টিকাকরণে রেকর্ড গড়ল বাংলা। ভাঙল নিজের আগেকার রেকর্ডই। মঙ্গলবার রাত ন’টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মাত্র একদিনেই রাজ্য ১১ লক্ষ ৫৪ হাজার মানুষকে টিকা দিয়েছে, যা আগের দৈনিক সর্বোচ্চ টিকাকরণের দ্বিগুণ! এদিন দৈনিক টিকাকরণে প্রথম স্থানে রয়েছে মুর্শিদবাদ। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। উল্লেখ্য, এদিন প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে নাগরিকদের ৪ কোটি টিকা দিল রাজ্য। সেই মাইলফলকও বাংলা পেরল এদিনই (৪ কোটি ৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৩৬)।

দেশের টিকাকরণও যথেষ্ট ভালো হয়েছে। ভারত দৈনিক টিকাকরণের ১ কোটির গণ্ডি পেরল। মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সারা দেশে ১ কোটি ২২ লক্ষ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি টিকাদান শুরুপর এখনও পর্যন্ত দুটি ডোজ মিলিয়ে ৬৫ কোটি ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৬১ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজ পেয়েছেন ৫০ কোটি ১২ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬৫৫ জন। দ্বিতীয়টি পেয়েছেন ১৪ কোটি ৯০ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০৬ জন। এদিন বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বলেন, ‘‌হিমাচলপ্রদেশের প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ একটি ডোজ ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন।’‌

এদিনের রেকর্ড টিকাকরণ নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলার স্বাস্থ্যকর্তারা। রাজ্য হেলথ ডিরেক্টরেটের টিকাকরণের শীর্ষকর্তা ডাঃ অসীম দাস মালাকার বলেন, আমাদের ধারণা দৈনিক টিকাকরণের সমস্ত হিসেব পাওয়ার পর রাজ্যের একদিনের পরিসংখ্যানই ১৩ লক্ষের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।

সিদ্ধান্ত হয়েছে, কুপন ছাড়া কোনওভাবেই টিকা দেওয়া হবে না। কমপক্ষে ১-২ দিন আগে কুপন দিয়ে দিতে হবে। কুপনের বাইরে কেউ ভিড় করতে পারবেন না টিকাকরণ শিবিরে। পর্যাপ্ত জায়গা, বড় মাঠ সহ স্কুলভবনে টিকা দেওয়ায় জোর দিতে হবে। এছাড়া ঠিকমতো ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রয়োজনে পুলিস প্রয়োজনীয় মোতায়েন রাখতে হবে।

এছাড়া এদিনের বৈঠকে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যদপ্তর বা আইসিডিএস কর্মীদের মাধ্যমে কুপন দেওয়া হবে। শুধুমাত্র কুপন দিয়েই টিকা দেওয়া হবে। কমপক্ষে এক বা দু’দিন আগে কুপন দেওয়া হবে। জেলায় জেলায় করোনা মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স তৈরির নির্দেশ দেওয়া হল এদিন। কোথায় টিকা দেওয়া হবে, সেই জায়গা নির্ধারণের জন্য। জেলায় জেলায় অতিরিক্ত জেলাশাসক, অতিরিক্ত পুলিস সুপার, জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ওই টিমে রাখতে হবে।