জেলা

হাবড়ায় ভ্যাকসিনে কসবার ছায়া!‌

করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাবড়া এবং বারাসতে। দু’টি জায়গায় পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। কসবা কাণ্ডের ছায়া হাবড়ায় পড়ল কি না, তা নিয়ে দিনভর চাপানউতোরের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনেই টিকাকরণের কাজ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, হাবড়ার বাণীপুরে একটি বেসরকারি সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। ওই কলেজে ক্যাম্প করে বুধবার থেকে টিকাকরণের কাজ শুরু করা হয়। কলেজের কর্মীদের পাশাপাশি হাবড়ার সাধারণ মানুষ ৭৮০ টাকা দিয়ে টিকা নিচ্ছিলেন। কসবা কাণ্ডের জেরে ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বেসরকারি কলেজ থেকে কীভাবে টিকা দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে হাবড়া পুরসভার প্রতিনিধি, মেডিক্যাল অফিসার এবং হাবড়া থানার পুলিশ কর্তারা গিয়ে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের অনুমতি ও টিকা দেওয়ার পদ্ধতি সঠিক থাকায় তাঁরা সাধারণ মানুষকে বুঝিয়ে ফিরে আসেন। হাবড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তারকনাথ দাস বলেন, ‘‌ওই সংস্থার মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। ওরা স্বাস্থ্যদপ্তরের অনুমতি নিয়েই টিকাকরণ করছে। এদিন পুরসভার অনুমতি নিয়েছে।’‌

এদিন বারাসতের হাটখোলা আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে টিকাকরণ নিয়ে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। কয়েকশো মানুষ লাইনে দাঁড়ালেও মাত্র ২৫০ জনকে টিকা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু কুপন পাওয়া ২৫০ জনকেও টিকা দেওয়া হয়নি। ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, ভিতর থেকে লাইনে না দাঁড়ানো অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের মধ্যে লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। খবর পেয়ে বারাসত থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।