মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে ফের মহাসঙ্কটে উত্তরাখণ্ড রাজ্য। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই ফের বদলাতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী। এটা বিজেপি শাসিত রাজ্য। শুক্রবার রাতেই রাজ্যপালের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়ে নিয়মমাফিক ইস্তফা দিলেন তীর্থ সিং রাওয়াত। সাংবিধানিক সংকট এড়াতে শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াত। রাজ্যপাল বেবি রানী মৌর্যের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন তিনি। উত্তরাখণ্ডের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারকে। আজ তাঁর দেরাদুনে পৌঁছনোর কথা।
রাত ১১টা নাগাদ মন্ত্রিপরিষদের সহকর্মীদের নিয়ে রাজভবনে পৌঁছে রাজ্যপাল বেবি রানী মৌর্যকে তার পদত্যাগ হস্তান্তর করেন তীর্থ সিং রাওয়াত। তাঁর জায়গায় বিজেপি শিবির নতুন কাকে মুখ্যমন্ত্রী করে সে দিকে এখন তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। কেন পদত্যাগ করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী? তখন তিনি বিধায়ক ছিলেন না। গত ১০ মার্চ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তীর্থ। সংবিধান অনুযায়ী, শপথ নেওয়ার ছ’মাসের মধ্যে বিধায়ক অথবা বিধান পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। এখনও উপনির্বাচন হয়নি উত্তরাখণ্ডে। বরং পউরি গরওয়াল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হিসেবেই রাজ্যপাট সামলাচ্ছিলেন তীর্থ সিং রাওয়াত। উপনির্বাচনের জন্য অবশ্য হাতে আরও ২ মাস সময় আছে। তাহলে? দলের অন্দরে বিরোধিতার মুখে পড়েই পদত্যাগ করতে হল উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে।
আগেও দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠায় উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতকে। তাঁর বদলে গত ১০ মার্চ উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন তীর্থ সিং রাওয়াত। নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও মন্ত্রীর পদে বসার জন্যই বিধায়ক হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তীর্থ সিং রাওয়াত বিধায়ক নন। আগামী বছরই উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এই স্বল্প মেয়াদে রাজ্যের দায়িত্ব কে সামলাবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে আজই। সূত্র অনুযায়ী, দলের অন্দরে আপাতত দুটি নাম উঠে এসেছে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে, সতপাল মহারাজ ও ধন সিং রাওয়াত।
You must be logged in to post a comment.