রাজ্যের স্কুলগুলির বাথরুমের অবস্থা শোচনীয়। তাই প্রতি মাসে ঋতুস্রাব চলাকালীন তিন দিনের ছুটির দাবি করলেন উত্তরপ্রদেশের শিক্ষিকারা। যোগী রাজ্যের এই ঘটনায় ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। নতুন করে গঠিত শিক্ষিকাদের এক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে। মন্ত্রীদের কাছে সেই দাবি পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে। জন প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করছেন শিক্ষিকারা। বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ওই সংগঠনের দাবি, উত্তরপ্রদেশের সরকারি স্কুলগুলির বাথরুমের হাল বেহাল। ফলে ঋতুস্রাবের সময় প্রবল অসুবিধায় পড়তে হয় শিক্ষিকাদের। তাই এই বিশেষ ‘পিরিয়ড লিভ’–এর প্রয়োজন। ৬ মাস আগে গঠিত হয়েছে এই সংগঠন। ৭৫টি জেলার মধ্যে ৫০টি জেলাতেই তাদের অস্তিত্ব রয়েছে।
সংগঠনের প্রধান সুলোচনা মৌর্য জানান, ‘অধিকাংশ স্কুলেই ২০০ থেকে ৪০০ ছাত্রীদের সঙ্গেই বাথরুম ব্যবহার করতে হয় শিক্ষিকাদের। বাথরুমগুলি পরিষ্কার করা হয় না। বহু ক্ষেত্রেই বাথরুমে যাওয়া এড়াতে জল কম খেয়ে মূত্রনালির সংক্রমণে ভুগতে হয়। নোংরা বাথরুম এড়াতে মাঠে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হয় ঋতুস্রাব শুরু হলে।’
উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ৭০ শতাংশ শিক্ষিকা থাকলেও অন্যান্য সংগঠনগুলিতে পুরুষদেরই প্রাধান্য থাকে। তাঁরা এই ধরনের ইস্যুকে গুরুত্ব দেন না বলেই জানিয়েছেন সুলোচনা। যদিও যোগী প্রশাসনের দাবি, ৯৫.৯ শতাংশ স্কুলেই ছেলে ও মেয়েদের আলাদা বাথরুম রয়েছে। যা গোটা দেশের গড় হিসেবের থেকেও বেশি। কিন্তু তা থাকলেও সেই বাথরুমগুলি একেবারেই পরিষ্কার করা হয় না বলে দাবি শিক্ষিকাদের।