দেশ ব্রেকিং নিউজ

ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত উত্তরপ্রদেশ

এক সপ্তাহ ধরে একটানা ভারী বর্ষণের জেরে দিল্লির পাশাপাশি বিপর্যস্ত উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের ত্রাণ কমিশনার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে বৃষ্টি সংক্রান্ত একাধিক ঘটনায় মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত কয়েক দিনে উত্তরপ্রদেশে বৃষ্টির কারণে মৃতের সংখ্যা ৫০-এর গণ্ডি পেরিয়ে গেল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রামপুর এলাকায় বর্ষায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। এ ছাড়া, বালিয়া, মাহোবা এবং ললিতপুর জেলায় পৃথক কয়েকটি ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। সুলতানপুরে সাপের কামড়ে মারা গিয়েছেন আরও এক জন। বদায়ুঁ জেলায় গঙ্গা নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। বুন্দেলশহর এবং ফারুখাবাদেও গঙ্গা ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে।

এছাড়া, প্রয়াগরাজে যমুনার জলস্তরও বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। মথুরায় যমুনা আগেই বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় সংলগ্ন নিচু এলাকাগুলি প্লাবিত হয়েছে। মথুরা এবং বৃন্দাবনে রাস্তাঘাট ইতিমধ্যে যমুনার জলের তলায়। গ্রামের পর গ্রাম ভেসে গিয়েছে। বিপুল ক্ষতি হয়েছে চাষের। অনেক শস্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে দুর্যোগকবলিতদের উদ্ধার করে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মোট ৭৫টি জেলার মধ্যে ৩২টি জেলাতেই এ বছর মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টাতেও রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

শনিবার রাত থেকে আরও বেড়েছে যমুনা নদীর জলস্তর। হরিয়ানার হাতনিকুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ার জেরে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপের দিকে গেছে যে শহরেও জল ঢুকছে হু হু করে। এমনকী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবন সংলগ্ন এলাকাও ভাসছে যমুনা নদীর জলে। এই জরুরি অবস্থায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজধানী শহরে।বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোট ১৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।