তেহরানের সেনাপ্রধানকে মারার পর থেকেই ইরান–মার্কিন সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। তার পর থেকে ইরান একের পর এক আঘাত হেনে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। নভেম্বর মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তাই এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ইরানের উপর ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে যাবে আমেরিকা। ইতিমধ্যেই স্টেট সেক্রেটারি মাইক পম্পেও বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে তেহরান পরমাণু চুক্তি হয়েছিল। তখন ইরানের উপর থেকে উঠে গিয়েছিল আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা। ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে আমেরিকা। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে অহি–নকুল সম্পর্ক তৈরি হয়। তার জেরে ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের কাছেও গিয়েছিল ইরান। আবার নিষেধাজ্ঞা কায়েম করার জন্যই রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হচ্ছে আমেরিকা।
তবে নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কায়েম রাখার প্রচেষ্টায় হারের মুখে পড়েছে আমেরিকা। এমনকী চিন–রাশিয়ার ভোট পড়েছে আমেরিকার বিপক্ষে। তাই ফের ইরানের উপর এই নিষেধাজ্ঞা কায়েম করা কতটা সহজ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর ট্রাম্পের কথায়, ইরানের কখনই পরমাণু অস্ত্র থাকবে না। মুখে এই কথা বললেও বাস্তবে তা কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে খোলসা করেননি তিনি। অনেকে অবশ্য এটাকে নির্বাচনের আগে ভোকাল টনিক বলে মনে করছেন।