মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিল নিয়ে সোমবার উত্তাল বিধানসভা! পুজোর মুখে রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তা কার্যকর করতে দুটি আইনে সংশোধনী আনতে হবে।
আইন দুটির মধ্যে প্রথমটি হল, ‘বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি (মেম্বার অ্যামিউজমেন্টস) অ্যাক্ট ১৯৩৭’ এটি বিধায়কদের বেতন সংক্রান্ত। দ্বিতীয়টি, ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিস অ্যান্ড অ্যালায়েন্স অ্যাক্ট ১৯৫২’, এটি মূলত মন্ত্রীদের বেতন সংক্রান্ত। যদিও দুটি আইনের সংশোধনী সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে শাসক দল কার্যকর করাতে পারলেও শেষ পর্যন্ত আইনে পরিণত হতে স্বাক্ষর লাগবে রাজ্যপালের। রাজ্যপাল মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির বিলে স্বাক্ষর করবেন কিনা, তা নিয়ে রবিবার থেকেই শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা।
সোমবারও সেই ফাইলে সই করলেননা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শেষমেশ এই বিল পাশের জন্য পুজোর মুখে সংশোধনী আনা হলেও তা পাশ করতে পারল না সরকার। সোমবার বিধানসভায় একদিনের বিশেষ অধিবেশনে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি বিলের কাগজ ছিঁড়ে দিলেন বিজেপি বিধায়করা। ‘দি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিজ অ্যান্ড অ্যালাউওন্সেস সংশোধন বিল ২০২৩’ নিয়ে এদিন তুলকালাম বাধে বিধানসভায়। বিধানসভার অধিবেশনে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই বিল পেশ করতে গেলেই তুমুল হট্টগোল শুরু হয়। বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, রাজ্যপাল এই বিলে সাক্ষর করেননি। ফলে এই বিল অনুমোদিত নয়। তাহলে কীভাবে পেশ করা হচ্ছে। আর এই আইন সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বর্ধিত বেতন পাবেন না বিধায়ক-মন্ত্রীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত যে আরও বাড়ল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।