আন্তর্জাতিক

কৃষক আন্দোলনের পাশে রাষ্ট্রপুঞ্জও

ভারতের কৃষি–আন্দোলন ক্রমশ ফরেন ইভেন্টে পরিণত হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র থেকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে। দিল্লি ও সন্নিহিত অঞ্চলে চলা কৃষক–বিক্ষোভ ও আন্দোলনের পাশে এবার দাঁড়াল রাষ্ট্রপুঞ্জও। কানাডায় আগেই পৌঁছেছে দিল্লির কৃষক বিদ্রোহের আঁচ। কূটনৈতিক সম্পর্ক অবনতি হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মুখ বন্ধ করতে পারেনি নয়াদিল্লি। মোদী সরকারের হুমকি উপেক্ষা করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী শনিবার ফের একবার ঘোষণা করলেন, কৃষকদের পাশ থেকে সরছে না কানাডা সরকার।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামার অধিকার রয়েছে সাধারণ মানুষের। সরকারেরও উচিত সেই আন্দোলন করতে দেওয়া বলে রবিবার জানাল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ভারতের কৃষক আন্দোলনে এখনও অচলাবস্থা কাটেনি। আগামী মঙ্গলবার ৮ ডিসেম্বর কৃষকরা বনধ ডেকেছে। ইতিমধ্যেই সব কটি বৈঠকই ব্যর্থ হয়েছে। মোদী সরকারের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। তবে আগামী ৯ ডিসেম্বর ফের কৃষক–সরকার বৈঠক আছে বলেই খবর।
এক সাক্ষাত্‍কারে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘‌বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করবে কানাডা। আলোচনার মাধ্যমে অশান্তি মেটানো ও শান্তি ফেরানোর জন্য পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছি সকলে।’‌ আর এবার কৃষক আন্দোলনে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্তোনিয়ো গুতারেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। জবাবে তিনি বলেন, ‘‌শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার রয়েছে সাধারণ মানুষের। কর্তৃপক্ষের উচিত তা করতে দেওয়া।’‌
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আইনে পরিণত হওয়া কেন্দ্রের তিনটি কৃষি বিল নিয়েই বিক্ষোভের সূত্রপাত। এই তিন আইনকে কৃষিবিরোধী আখ্যা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন দেশের কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে রাষ্ট্রপুঞ্জের এহেন মন্তব্য রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‌কোনও গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে বিদেশিদের মন্তব্য অবাঞ্ছিত।’‌