জলবায়ুতে জারি হোক জরুরি অবস্থা বললেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সদস্য রাষ্ট্রগুলির প্রতি জলবায়ুতে জরুরি অবস্থা জারির ডাক দিয়েছেন। প্রতিটি দেশকে কার্বন নিঃসরণ প্রতিশ্রুত মাত্রায় কমিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি। আর ২০৪৭ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে বিশ্ববাসীর আশা পূর্ণ করবে শতায়ু ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সম্মেলনে এই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ক্লাইমেট অ্যামবিশন শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব এই আহ্বান জানান। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন হয়েছে। এই সম্মেলনে মোদী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন রোধের কথা চিন্তা করার মাঝে আমরা যেন ইতিমাসকে স্মরণে রাখি। প্যারিস চুক্তি অনুসারে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র কী কী পদক্ষেপ ইতিমধ্যে করেছে, তা যেন আমরা ভুলে না যাই।’
আন্তোনিও তাঁর ভাষণে সাবধান করে দেন, এখনই নিজেদের কর্মপন্থা পরিবর্তন না করলে চলতি শতকেই গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি দেখব আমরা, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ। এই কারণেই আজ আমি বিশ্বের সব নেতাকে তাঁদের নিজের নিজের দেশে জলবায়ুতে জরুরি অবস্থা জারির আহ্বান জানাচ্ছি। বায়ুমণ্ডলে কার্বন জমা পড়ার হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত এই জরুরি অবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।
এই সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘২০০৫ সালের তুলনায় দূষণের পরিমান ২১% কমিয়েছে ভারত। আমাদের সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার ২০১৪ সালে ছিল ২.৬৩ গিগাওয়াট, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ গিগাওয়াট। আমাদের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎশক্তি বর্তমানে বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ। ২০২২ সালের আগেই তা পৌঁছে যাবে ১৭৫ গিগাওয়াটসে।’ অবশ্য চলমান করোনাভাইরাসের অতিমারীর মধ্যে বিভিন্ন দেশ লকডাউন ও চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করায় এই বছর কার্বন নিঃসরণ কিছুটা কমেছে বলে গত সপ্তাহেই জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
