কোথায় করোনাভাইরাস? কোথায় সংক্রমণের আতঙ্ক? সেসব এখন অতীত। এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। যদিও তা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। তবু সাড়া পড়ে গিয়েছে। নেটপাড়ায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছে সেই হিল্লোল জাগানো ভিডিও। যার জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। সেক্স ভিডিও ফাঁসই কেচ্ছার। এক্ষেত্রে সেক্স ভিডিও’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন দু’জন। আর গাড়িটি রাষ্ট্রপুঞ্জের! তাই হইচই শুরু।
কেন হইচই? গাড়ির ভেতরে থাকা ব্যক্তিও যে রাষ্ট্রপুঞ্জের এক আধিকারিক তা অস্বীকারের উপায় নেই। তাই ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে রাষ্ট্রপুঞ্জ তদন্তও শুরু করে দিয়েছে। অভিযুক্ত আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে। প্রকাশ্যে গাড়ির মধ্যে উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত থাকার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় কোনও কথা এখন শুনতে রাজি নয় রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাই শাস্তির খাঁড়া নামছেই।
সেক্স করা অপরাধ নয় ঠিকই। বরং জীবনের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। তা বলে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক নিজেদের ইচ্ছেয় প্রকাশ্যে সেক্স করবে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। আদিম রিপুর তাড়নায় স্থান–কাল–পাত্র ভুলে, দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হলে চর্চা তো তুঙ্গে উঠবেই। তাও আবার রাষ্ট্রপুঞ্জের অফিশিয়াল গাড়িতে বসে রাস্তায় লোকচক্ষুর সামনে ওই আধিকারিক সেক্স না করলে বলারও কিছু ছিল না। কিন্তু ঘটেছে সেটাই, যেটা রাষ্ট্রপুঞ্জকেও বিড়ম্বনায় ফেলেছে প্রচণ্ডভাবে।
দ্য নিউ হিউম্যানিটেরিয়ান সূত্রে খবর, টুইটারে সেক্স ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ভিডিওটি তোলা ইজরায়েলের তেল আভিভের এক ব্যস্ত রাস্তায়। যেখানে রাস্তার ধারের একটি বাড়ি থেকে ভিডিওটি তোলা হয়েছে। কী দেখা যাচ্ছে সেই ভিডিও–তে? ভাইরাল ভিডিও–তে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের অফিশিয়াল গাড়ির পেছনের আসনে বসে রয়েছেন এক আধিকারিক। গাড়ির কাচ নামানো। এক মহিলা, পরনে লাল পোশাক, কোলের ওপর উঠে দু–পা ফাঁক করে উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত হয়েছে। তাঁরা যে সঙ্গমরত ভিডিও ক্লিপিংয়ে তা পরিষ্কার। গাড়ির নম্বর প্লেট থেকে জানা গেল, গাড়িটি রাষ্ট্রপুঞ্জের।
