দেশ লিড নিউজ

যোগীকে বিপাকে ফেলে দিলেন বিজেপি নেত্রী

হাথরাসের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে ওঠা ক্ষোভের মুখে চাপে পড়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এবার দলের প্রবীণ নেত্রীর সমালোচনায় আরও চাপে পড়ে গেলেন যোগী। ‌উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং রাজ্যের পুলিশকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুললেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী।হাথরাস কাণ্ডে তাঁর দাবি, পুলিশের সন্দেহজনক কার্যকলাপেই উত্তরপ্রদেশে সরকার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিন যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রতি তাঁর আবেদন, বিরোধী নেতানেত্রী এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারকে যেন দেখা করতে দেওয়া হয়। দলিত নির্যাতিতার বাড়ি ও গ্রাম পুলিশকর্মীরা ঘিরে রেখেছেন। তাঁদের সরিয়ে নিতে তিনি অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, প্রথমে কংগ্রেস সেখানে যেতে গেলে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে রাহুল গান্ধীকে মাটিতে ফেলে দেয়। পরেরদিন তৃণমূল কংগ্রেস পৌঁছলে পুলিশ ধাক্কা মেরে ডেরেক ও’‌ব্রায়েনকে মাটিতে ফেলে দেয়। তারপর বিজেপি নেত্রীর এই প্রতিক্রিয়া নিঃসন্দেহে যোগীর প্রশাসনকে চাপে ফেলে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই কারণে যোগী প্রশাসন কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে। যার জন্যই মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারের লোকের সম্মতি ছাড়া পুলিশ তড়িঘড়ি যে ভাবে মৃত তরুণীর সত্‍‌কার করেছে, তা নিয়েও উমা ভারতী এদিন অসন্তোষ ব্যক্ত করেন। তাই টুইট করে উমা যোগীর উদ্দেশ্যে লেখেন, ‌ভেবেছিলাম কিছু বলা উচিত নয়। কারণ আপনি পদক্ষেপ করবেন। কিন্তু পুলিশ গ্রাম এবং পরিবারকে আটক করে রেখেছে। তাতে ভাবছি এই ঘটনার পক্ষে কী যুক্তি থাকতে পারে! সিটের তদন্ত চললে পরিবারের লোকজন কারও সঙ্গে কথা বলতে পারবে না, এমন কোনও আইন আছে কি না, আমি জানি না।
ইতিমধ্যেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে হাথরাস–কাণ্ডে সাসপেন্ড করা হয়েছে হাথরাসের পুলিশ সুপার এবং আরও তিন পুলিশকর্মীকে। শুক্রবার রাতে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। হাথরাসের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট চাপে যোগী সরকার।
হাথরাস কাণ্ডে অভিযোগ নিতে দেরি করা, ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হওয়ার পরও ধর্ষণের অভিযোগ মানতে না চাওয়া, রাজ্য পুলিশের একের পর এক আচরণও যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রতি বড় অংশের মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে।