ক্রমশ খারাপ হচ্ছে ইউক্রেনে্র পরিস্থিতি।আন্তর্জাতিক মহলের আশঙ্কা সত্যি করেই ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বেধেছে। ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান শহর কারকিভ কিয়েভেও বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। তবে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকও বসে নেই। ইউক্রেনে বসবাসকারী ও পড়তে যাওয়া ছাত্র ছাত্রীদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে।
এরই মধ্যে প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়া ইউক্রেনে পড়তে ব্যস্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার মধ্যে ভারত সরকারের তরফে বেশ কিছু পড়ুয়াকে ফেরত আনা হলেও আকাশ পথ বন্ধ থাকার কারনে আরও অনেক পড়ুয়াকে ফেরত আনা যায়নি।তেমনই ডাক্তারি পড়তে গিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন দুই বঙ্গ তনয়া নিশা বিশ্বাস ও স্বাগতা সাধুখাঁ। উৎকণ্ঠায় দিন কাটাছে গোবরডাঙ্গা ,হাবড়ার স্বাগতা ও নিশার পরিবার। ইতিমধ্যেই তাদের ফিরিয়ে আনতে দুই পরিবারের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে।
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা ও হাবড়ার বাসিন্দা স্বাগতা ও নিশা ডাক্তারি পড়তে ভর্তি হন ইউক্রেনের চিফ মেডিকেল কলেজে।এরই মধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ায় মেয়েদের নিয়ে একপ্রকার চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটচ্ছে নিশা ও স্বাগতার পরিবার।
ডুয়ার্সের মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের বেশ কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী এমবিবিএস পড়ছেন ইউক্রেনে। যাদের মধ্যে রয়েছেন বীরপাড়ার অক্সিতা গুরুং। এদিন বাড়ি ফিরলেন তিনি। বাড়ি ফেরার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পরিবারের সদস্যরা।জানা গিয়েছে, মাদারিহাটের বাকি পড়ুয়ারাও বিপদের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেনে থাকতে চাইছেন না তারা। এদিন মাদারিহাট থানার গ্যারগান্ডা চা বাগানের শিক্ষা ছেত্রীও দেশে ফিরেছেন।