টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা হত্যাকাণ্ডে একাধিক ‘ভাড়াটে খুনি’কে পাঞ্জাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। ভিনরাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে রাজ্যের সিআইডি। ধৃত সুজিত রাই ও রোশন কুমার রাই দু’জনেই শার্পশুটার বলে পরিচিত। পাঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে ধৃত ওই ২ দুষ্কৃতীকে ট্রানজিট রিমান্ডে ব্যারাকপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। এই ঘটনায় আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুবোধ যাদবকে।
গত ৪ অক্টোবর ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান মণীশ। ময়নাতদন্তে জানা যায় তাঁর দেহে ১৪টি বুলেট ছিল। খুনের তদন্তভার দেওয়া হয় রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডিকে। তদন্তভার হাতে পেয়েই সিআইডি’র ডিআইজি প্রণব কুমার ঘটনাস্থলে যান। সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলের ভিডিওগ্রাফি করার পাশাপাশি ওই এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেন।
সিআইডি’র তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার ১০–১২ দিন আগে ওই সুবোধের বাড়িতেই ঘাঁটি গেড়েছিল সুজিত–রোশন। সুবোধই ওদের মণীশকে চিনিয়ে দেয়। তার নির্দেশে বেশ কয়েকবার এলাকা রেইকি করে ওরা। মণীশ কখন কোথায় যেত সে সব খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজ এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দু’টি মোটরবাইককে চিহ্নিত এবং একজন আততায়ীকে শনাক্ত করা গিয়েছিল। পরে ফুটেজের সূত্র ধরেই মহম্মদ খুররম এবং গুলাব শেখ নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি সূত্রে খবর, বিহার থেকে তারা সড়কপথে কলকাতায় আসে। সেখান থেকে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র তারা নিয়ে এসেছিল বলে দাবি সিআইডি’র। খুনের পর তারা ফের বিহারে চলে যায়। কিন্তু সেখানে তারা বেশি দিন থাকতে পারেনি। কারণ, তদন্তের জন্য ততদিনে বিহারে হাজির হয় পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। তাই তারা পাঞ্জাবে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। ব্যারাকপুর আদালতে সিআইডি দাবি করে, বিহারের জেলে বন্দি সুবোধই বিজেপি নেতা মণীশ হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত। সুবোধই বিহারের জেলে বসে খুনের ব্লু–প্রিন্ট তৈরি করে।
পাঞ্জাব থেকে রোশন যাদব এবং সুদীপকুমার রাই নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাঞ্জাব থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সুবোধ সিং–ই এদের মোটা টাকার বিনিময়ে মণীশ শুক্লা খুনের অপারেশনে নিয়োগ করে।
