এই বছরের মধ্যে করোনা থেকে মুক্তি মিলবে? গোটা বিশ্বে এখন এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরও আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ রিসার্চ অ্যান্ড পলিসির গবেষকেরা জানান, করোনাভাইরাসের মহামারী শেষ হতে আরও দু’বছর লাগতে পারে। বিশ্বের দুই–তৃতীয়াংশ মানুষের এই রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মহামারী নিয়ন্ত্রণে আসবে না।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানান, এই ভাইরাস এমন মানুষও ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে, যাদের দেখে মনে হতে পারে তারা অসুস্থ নন। অর্থাৎ উপসর্গহীন। ভারতেও সম্প্রতি এমন বহু রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যাঁদের কোনও উপসর্গই ছিল না। ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণের চেয়ে করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। যখন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে, তখনই এই ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
এই গবেষণাপত্র লিখেছেন, সিআইডিআরএপি’র পরিচালক মাইকেল ওস্টারহলম, চিকিৎসাবিজ্ঞান–বিষয়ক পরিচালক ক্রিস্টেন মুর, তুলান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ হিস্টোরিয়ান জন বারি এবং হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের রোগতত্ত্ববিদ মার্ক লিপসিচ। গবেষকদের দাবি, এই মহামারীর সঙ্গে ১৯১৮ সালের মহামারি স্প্যানিশ ফ্লুর সঙ্গে মিল রয়েছে।
গবেষকদের দাবি, লকডাউন উঠে গেলে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের নিয়মও শিথিল করে নিলে ফের বড় বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। তখন অনেক দেশেই সংক্রমণে লাগাম টানা অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে। এমনকী এই দেশের বহু জায়গাতেও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং ঠিকঠাক মানা হচ্ছে না।
