দেশ ব্রেকিং নিউজ

নিকেশ দুই লস্কর কমান্ডার

জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ সোমবার গোপন অভিযান চালিয়ে লস্কর–ই–তৈবার একটি ছদ্ম সংগঠন ‘দ্য রেসিস্টেস ফোর্স’—এর দুই শীর্ষ কমান্ডারকে নিকেশ করল৷ এরা শহরের বহু মানুষকে হত্যা ও যুবকদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত৷ উগ্রপন্থী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকা আব্বাস শেখ, ও তাঁর সহযোগী ডেপুটি শাকিব মঞ্জুর শহরের আলোচি বাগ এলাকার পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছে৷ দীর্ঘদিন ধরেই উপত্যকায় খোঁজ চলছিল আব্বাস শেখ নামে এই জঙ্গির। ১০ জন পুলিশ সাদা পোশাকে এই অভিযান চালায়। শ্রীনগরের আলুচি বাগ এলাকায় ঘিরে ফেলে আব্বাসকে।

 

একেবারে সন্তর্পণে সেই অভিযান চালায় পুলিশ। ‌এই দুই জঙ্গি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ঘিরে ফেলা হয়। জঙ্গিরা কোনও পাল্টা আক্রমণ করার সুযোগ পায়নি বলেও দাবি পুলিশের। সুতরাং কোনও ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি এই অভিযানে। তার আগেই গুলি করে মেরে ফেলা হয় দুই জঙ্গিকে। এমন সময় খবর আসে যখন স্থানীয় ফুটবল দলের ম্যাচ দেখতে মাঠে হাজির এই দুই উগ্রপন্থী৷ আলোচি বাগ ফুটবল গ্রাউন্ডে তারা খেলা দেখতে এসেছিল৷

 

প্রথমে হিজবুল মুজহিদিনের হয়ে কাজ করত আব্বাস শেখ। পরে সে নাম লেখায় লস্করে। ৪৬ বছর বয়সি এই জঙ্গি বহুদিন ধরে কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ চালালেও কোনওভাবেই নাগালের মধ্যে আসছিল না। স্নাতকোত্তর পাশ করা মঞ্জুরও নাম লেখায় জঙ্গি দলে। কিছুদিনের মধ্যেই র‍্যাঙ্ক বেড়ে যায় তার। তার হাতেও অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে উপত্যকায়। সাধারণ মানুষদের যেন কোনও ক্ষতি না হয় ,সেভাবেই অপারেশন প্ল্যান করা হয়েছিল৷ তাদের ঘিরে ধরে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়৷ কাশ্মীরের পুলিশ নিরীক্ষক বিজয় কুমার বলেন, ‘আমাদের এলাকায় ওদের উপস্থিতির খবর ছিল৷ সাদা পোশাকে আমরা এলাকায় তৎকাল পৌঁছে যায়৷ তারপর সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার দেওয়া হয়৷ তারপর জঙ্গিরা তাদের উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ শুরু করে৷ প্রত্যুত্তরে পুলিশকেও গুলি চালাতে শুরু করতে হয়৷ এদের মেরে সুরক্ষাদল বড় সাফল্য পেল৷ আব্বাস শেখের কথায় শাকিব একাধিক হত্যালীলা চালিয়েছে৷’‌

 

শুক্রবারও অবন্তীপোরায় শুরু হয় এনকাউন্টার। সেই অভিযানে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। আটক করা হয় দুই জঙ্গিকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই জঙ্গিরা হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। এরপরই খবর মেলে, ত্রাল এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে কয়েকজন জঙ্গি। এরপরই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন শেখ গত একবছরে প্রচুর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রকারী ছিল৷ সে গত বছর টিআরএফে যোগ দেয়৷ দ্রুত সে সংগঠনের ওপরের দিকে উঠতে শুরু করে৷ শোনা যায় শেখের ইশারায় সে উপত্যাকায় একের পর এক হত্যালীলা চালায়৷