বাংলাদেশ

বাংলাদেশে গ্রেপ্তার দুই সাংবাদিক

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হলেন দুই সাংবাদিক। বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় এক যুবলিগ নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বিতর্কিত আইনে ধৃত সাংবাদিকদের নাম হচ্ছে মুন্সী শাহীন আহমেদ জুয়েল (৪২) ও অঞ্জন কুমার শীল (২৮)। কুষ্টিয়ায় একটি নিউজ পোর্টাল চালান তাঁরা। অভিযোগ, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ও কাঠ ব্যবহার শিরোনামে একটি মিথ্যা খবর প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, মেডিক্যাল কলেজে ধসে পড়া একটি ভবন নির্মাণে রডের পরিবর্তে বাঁশ ও কাঠ ব্যবহার করা হয়েছিল। গ্রেপ্তার হওয়ায় সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। পরে বিকেলে তাঁদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে তোলা হয়। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তাঁদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ মে মুস্তাক ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র‌্যাব বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং গুজব ছড়িয়ে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। কয়েকদিন আগেই কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রহস্যজনকভাবে মারা যান ৫৩ বছরের লেখক মুস্তাক। হাসিনা সরকারের অত্যন্ত কড়া সমালোচক বলে পরিচিত ছিলেন মুস্তাক।