বৃহস্পতিবার বাংলার মাটিতে কফিনবন্দি হয়ে ফিরছে লাদাখে শহিদ দুই বীর জওয়ানের দেহ। দেশের মাটিকে বাঁচাতে গিয়ে আত্মবলিদান দিয়েছেন তাঁরা। চণ্ডীগড় থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে প্রথমে পানাগড়ে আসবে দেহ। তারপর সেখানে নামানো হবে বীরভূমের মহম্মদবাজারের শহিদ জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের দেহ। এরপর বিমান উড়ে যাবে হাসিমাড়ায়। সেখানে আলিপুরদুয়ারের শহিদ বিপুল রায়ের দেহ নামানো হবে। ইতিমধ্যেই এই খবর পেয়ে লোকে লোকারণ্য গ্রামীণ পথঘাট।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানটি কলকাতায় আসবে। বিকালে ফের চণ্ডীগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। বীরভূমের শহিদ জওয়ানয়ের বাড়িতে উপচে পড়ছেন পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়রা। প্রত্যেকেই বীর জওয়ানকে একবার চোখের দেখা দেখতে চান। কড়া নিরাপত্তার চাদরে গোটা গ্রাম এখন ঢেকে গিয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গ্রামের বিভিন্ন জায়গা। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল বাহিনী। গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষবিদায় জানাবেন সহকর্মী জওয়ানরা। আজ সকালে বেলা গ্রামে শহিদ জওয়ানের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন সাঁইথিয়া বিধানসভার বিধায়ক লীলাবতী সাহা। শহিদ জওয়ানের ছবিতে মাল্যদান করেন।