পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি সহ গ্রেপ্তার দুই দুষ্কৃতি। ধৃতরা এলাকায় দাগি অপরাধী হিসেবে পরিচিত। গভীর রাতে নাকা চেক পয়েন্ট থেকে পুলিশের জালেধরা পড়ে এই দুই দুষ্কৃতি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমাজ বিরোধীদের দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে শাসকদল। বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির। মমতার জামানায় অপরাধীরা ছাড় পায় না পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল। ঘটনায় মালদা জেলার বাংলা-বিহার সীমান্তবর্তী হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
রবিবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার অন্তর্গত সালালপুর নাকা চেকিং পয়েন্টে এ এস আই জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বিশেষ চেকিং চলছিল। সেই সময় দুই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পুলিশের খাতায় এর আগেও তাদের নাম রয়েছে। তাদের আটক করতেই উদ্ধার হয় একটি পিস্তল এবং দুই রাউন্ড গুলি। ধৃত দুই ব্যক্তির নাম তপন দাস (২৭) এবং মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন(২৯)। দুজনেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার অন্তর্গত ভবানীপুরের বাসিন্দা। সোমবার ওই দুজনকে পুলিশে হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই দুজন কোথায় যাচ্ছিল? কি পরিকল্পনা ছিল তাদের? সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
জেলা বিজেপি কমিটি সদস্য কিষান কেডিয়ার অভিযোগ এলাকায় এলাকায় তৃণমূল বোমা,বন্দুক মজুত করছে। নিজেদের নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে আগে থেকে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। তৃণমূলের মদতেই চারিদিকে বাইরে বের হচ্ছে সমাজ বিরোধীরা। কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে খতিয়ে রাখা উচিত প্রশাসনের। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৃণমূলের। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমানের পাল্টা দাবি বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গে মাফিয়া রাজ চলে না। পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় বলেই দুষ্কৃতীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে।
