হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ইরান। এবার ১২০০ পড়ুয়াকে বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠল ইরানের ইব্রাহিম রাইসির সরকারের বিরুদ্ধে। কার্যত সেকারণেই বুধবার থেকে ইরানে তিনদিনের বনধের ডাক দিয়েছেন হিজাব আন্দোলনকারীরা।
পুলিশের গুলি, নৃশংসতার মুখে দাঁড়িয়েও প্রতিবাদ, আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। দুই মাস ধরে আগুন জ্বলছে ইরানে। পুলিশের গুলিতে জারি মৃত্যু মিছিল। ইতিমধ্যেই বহু মানুষকে মৃত্যুদন্ডের সাজা শুনিয়েছে ইরান সরকার। আন্তর্জাতিক মহলে যেমন তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ইরান সরকার।
উল্লেখ্য,হিজাব বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল ইরান। গত সপ্তাহেই হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল তেহরানের আদালত। ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অন্যায়ের অভিযোগেই ওই প্রতিবাদীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। হিজাব বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য এই প্রথমবার মৃত্যুর সাজা ঘোষণা করেছে ইরানের প্রশাসন।
জানা গিয়েছে,প্রতিবাদের সময়ে সরকারি সম্পত্তিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন এক আন্দোলনকারী ব্যক্তি। সেই জন্যই তেহরানের আদালত তাঁকে ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অপরাধে’ দোষী সাব্যস্ত করেছে। সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবাদীকে। সেই সঙ্গে আরও পাঁচ প্রতিবাদীকে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইরানের অপর একটি আদালত। সব মিলিয়ে কুড়ি জন প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে এমন মামলা দায়ের করা হয়েছে, যেখানে দোষী সাব্যস্ত হলেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।
প্রায় দু’মাস ধরে হিজাব বিরোধী আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ইরান। শুধুমাত্র হিজাব না পরার কারণে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় ইরানের তরুণী মাহসা আমিনির। তারপরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা ইরান। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত হিজাব বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে অন্তত সাড়ে তিনশোজন প্রতিবাদীকে হত্যা করেছে সেদেশের প্রশাসন। প্রায় পনের হাজার প্রতিবাদীকে নানা অভিযোগে আটক করা হয়েছে।