শচীন পাইলটকে শান্ত করার পর রাজস্থানের আস্থা ভোটে প্রত্যাশিত জয় পেল কংগ্রেস। ফলে রাজ্যে অশোক গেহলটের নেতৃত্বাধীন সরকার টিকে গেল। জয়ের ব্যবধান এখনও স্পষ্ট করে জানানো না হলেও যতটুকু সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে তা হল— ১২৫–৭৫ ব্যবধানে জয় এসেছে কংগ্রেসের ঘরে। তবে অধিবেশনের শুরুতেই বিধানসভায় তুলকালাম শুরু করেন বিজেপি’র বিধায়করা। স্লোগান, কাগজ ছোঁড়াছুড়ি, নিরাপত্তারক্ষীদের দিকে তেড়ে যাওয়া, সব কিছুই হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন এটা বড় সেটব্যাক বিজেপি’র কাছে। বিজেপি’র অনাস্থা প্রস্তাব নয়, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পরামর্শ মেনে শুক্রবার অধিবেশনের শুরুতে আস্থাভোটের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার জোশী। অধিবেশন শুরু হলে স্পিকারের নির্দেশে গেহলট মন্ত্রিসভার পক্ষ থেকে আস্থা প্রস্তাব পেশ করেন মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল। আস্থা বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মুঘল সম্রাট আকবরের তুলনা করে তিনি বলেন, ‘মহারানা প্রতাপ বহিরাগত হামলাকারীকে প্রতিরোধ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট একইভাবে বহিরাগত চক্রান্তকারীকে রুখে রাজস্থানকে রক্ষা করলেন।’
এই মন্তব্যের পরেই বিজেপি বিধায়কেরা সভায় হট্টগোল শুরু করেন। স্পিকার সংযত হওয়ার আবেদন জানানোর পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। হই–হট্টগোলের মধ্যে শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশনে আস্থাভোটে জিতে জয়পুরের কুর্সি নিশ্চিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিজেপি’র চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছি।’ আসলে শচীন যদি বিজেপি শিবিরে ভিড়ে যেত তাহলে এই হাসিটা গেহলট হাসতে পারতেন না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
সূত্রের খবর, আস্থাভোটের পরই স্পিকার সি পি জোশী আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের জায়গা বদল হয়েছে বিধানসভায়। তিনি এদিন বিধানসভার সামনের সারিতে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসেননি। দ্বিতীয় সারিতে বিজেপি বিধায়কদের আসন লাগোয়া এক নির্দল বিধায়কের পাশে চেয়ারে বসেছিলেন। শচীন বলেন, ‘শক্তিশালী সেনাদের সব সময় সীমান্তেই পাঠানো হয়। আগে আমি সরকারে ছিলাম, এখন নেই। বিধানসভায় কোথায় আমি বসছি তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষের হৃদয়ে আমি আছি কি না, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’