A black young man killed by police in America.After that incident publice gathered outside the white house.For secuirity Tramp went to bunker.
আন্তর্জাতিক

বাংকারে আত্মগোপন ট্রাম্প!‌ জ্বলছে আমেরিকা

উই হ্যাভ ব্ল্যাক সনস, ব্ল্যাক ব্রাদার্স— আমরা তাঁদের মরতে দিতে পারিনা। এই স্লোগানেই উত্তাল গোটা আমেরিকা। ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের বাইরে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাটিরে নীচে বাংকারে আত্মগোপণ করেছিলেন বলে খবর। ২৫ মে পুলিশ হেপাজতে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের। তারপর থেকেই তাঁর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ–বিক্ষোভকারাদের সংঘর্ষ রুখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরে কার্ফু জারি করে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখরাঙানি এবং হুঁশিয়ারিকে কার্যত ছুঁড়ে ফেলে অগ্নিগর্ভ ওয়াশিংটন থেকে মিনিয়াপোলিস। হিংসাত্মক বিক্ষোভকে ঠাণ্ডা করে দেবেন বলেছিলেন ট্রাম্প। বিক্ষোভকারীদের উপর তাই কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ছুঁড়েছিল পুলিশ। কিন্তু প্রতিবাদ রোখা যায়নি। এক ঘণ্টার কম সময় ট্রাম্প বাংকারে আত্মগোপন করে ছিলেন। তখন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ঘিরে ছিলেন সিক্রেট সার্ভিস এবং ইউনাইটেড স্টেটস পার্ক পুলিশ অফিসাররা। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে মেলানিয়া ট্রাম্প ও ব্যারন ট্রাম্পকেও বাংকারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট নয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে মিনেসোটা পুলিশ ট্রাক চালককে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আগেই তাঁকে ট্রাক থেকে টেনে বের করে মারধর করে বিক্ষোভকারীরা। সংবাদ সংস্থার ছবিতে দেখা গিয়েছে যে ট্রাক চালকের শরীরে কোনও পোশাক নেই এবং তিনি মুখ ঢেকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন পুলিশের পাশে। জর্জ ফ্লয়েড নামে এক নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ে হাঁটু রেখে মারার চেষ্টা করছেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিন নেল্ট। পরক্ষণেই মারা যান ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। প্রকাশ্যে আসে সেই ভিডিও। আন্দোলনের রসদ আমেরিকাকে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষ মেনে নেবে না আমেরিকা।
মিনেসোটার ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটির কমিশনার জন হ্যারিংটন বলেন, ‘‌২৫ মে হ্যান্ডকাফ পরা ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট চেপে ধরে থাকেন ডেরেক শভিন নামের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা। ওই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ যে অত্যাচার করেছে তা পথচারীরা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।’‌ কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মানুষ।
বিক্ষোভকারীরা, পুলিশ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেটস ও কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করে। কিছু কিছু এলাকায় নীরব দর্শক ও সংবাদমাধ্যমকে নিশানা করা হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। তাই বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানী ওয়াশিংটন–সহ দেশের অন্তত ৪০টি শহরে জারি হয়েছে কার্ফু। অতিরিক্ত দু’হাজার সেনাকে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজন হলেই তাঁদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে।
তিন বছরের কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেকে নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন ৩১ বছরের মহিলা মুনা আবদি। তাঁর বক্তব্য, আমার ছেলে যাতে বাঁচতে পারে, তাই আমি এখানে। প্রায় ১৩টি শহরে কার্ফু জারি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না মার্কিন প্রশাসন। প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা আমেরিকা। শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক, আটলান্টা সব জায়গায় আগুনের সমান তেজ। প্রতিবাদীরা পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে দোকানপাট।
পুলিশ অফিসার ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ডেরেককে। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ট্রাম্প শোকপ্রকাশ করলেও কড়া সুর টেনেছেন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে। হোয়াইট হাউসের বাইরে বিক্ষোভের তীব্রতা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিজস্ব সুরক্ষা বাহিনী।