Again, the controversial decision was made by US President Donald Trump. Earlier, H1B and H2B visas were suspended for 60 days. Trump's immigration office will not issue any H1B, H4, L1, J1 visas for this year. Which means no one from outside the United States can work in that country. These two visas are mostly available to Indian IT companies and Indians seeking employment in the United States.
আন্তর্জাতিক

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তে বিপাকে ভারতীয়রা

আবার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগেই ৬০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল এইচ ১ বি, এইচ ২ বি ভিসা। এবার এই বছরের জন্য কোনও এইচ ১ বি, এইচ ৪, এল ১, জে ১ ভিসা দেবে না ট্রাম্পের অভিবাসন দপ্তর। যার অর্থ আমেরিকার বাইরে থেকে কেউ গিয়ে সে দেশে কাজ করতে পারবে না। এই দুই ভিসার সুবিধা সবচেয়ে বেশি পায় ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এবং আমেরিকায় কর্মপ্রার্থী ভারতীয়রা। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয়রাই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বন্ধু অ্যালিয়েন সম্বোধন করে ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন বাইরের দেশের কর্মী যাঁরা এসে আমেরিকাবাসীদের চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় ফেলছেন, তাঁদের সাময়িক প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের ফলে ২০২০ সালের বাকি সময়ের মধ্যেই আমেরিকায় ৫ লক্ষ ২৫ হাজার কর্মখালি হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে হওয়া কনফারেন্সে এই তথ্য জানান প্রশাসনের উচ্চপদস্থ এক আধিকারিক।
জানা গিয়েছে, মার্কিন মুলুকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার এমন আমেরিকাবাসী এই করোনার খাঁড়ায় কাজ হারিয়েছেন, যাঁদের শূন্যপদ এইচ ২ বি ভিসা দিয়ে পূরণ হয়ে যেতে পারে। আর ২ লক্ষ এমন আমেরিকান কাজ হারিয়েছেন যাঁদের শূন্যপদ এইচ–১ বি ও এল ভিসা দিয়ে পূরণ হয়ে যেতে পারে। তাই আমেরিকাবাসীদের কাজের সুযোগ করে দিতেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত।
হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, আপাতত এইচ–১বি ভিসাধারীর সঙ্গীর জন্য এইচ–৪ ভিসা স্থগিত রাখা হচ্ছে। কম দক্ষ কর্মীদের জন্য এইচ–২বি, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কর্মীদের জন্য কয়েকটি জে ক্যাটেগরি এবং সংস্থার মধ্যে বদলির জন্য এল–১ ভিসাও দেওয়া হবে না চলতি বছরে। আগের অর্থবর্ষে এই ওয়ার্কিং ভিসা মারফত আমেরিকায় যাঁরা কাজ করতে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়। এবার তাঁরা আর আমেরিকায় কাজ করতে যেতে পারবেন না। ‌সামনেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রচার সমাবেশ শুরু করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে এমন এক সিদ্ধান্ত আমেরিকাবাসীদের মন পেয়ে ভোট বৈতরণী পার করার ছক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।