ব্রেকিং নিউজ রাজ্য

রাজভবনের সামনে ধর্নায় তৃণমূলপন্থী উপাচার্য-শিক্ষাবিদরা

উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ‘অন্যায় হস্তক্ষেপ’ করছেন। এই অভিযোগ তুলেই রাজভবনের বাইরে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সকালে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেন তৃণমূলপন্থী উপাচার্য সংগঠন। এদিন রাজভবনের নর্থ গেটের বিপরীতে নিঃশব্দ প্রতিবাদে বসেন তৃণমূলপন্থী উপাচার্য এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের উচ্চশিক্ষায় অব্যবস্থা তৈরি করছেন রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে স্বাক্ষর করছেন না তিনি। রাজ্যের সরকারকে সম্মান করছেন না। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি রাজ্যপাল প্রচুর মিথ্যা প্রচার করেছেন বলেও দাবি তাঁদের। মূলত এসবের প্রতিবাদেই এদিন রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে ধর্না দেয় প্রাক্তন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদদের সংগঠন ‘দ্য এডুকেশনিস্টস ফোরাম।’ এদিনের ধরনা কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, সুবোধ সরকার, শিবাজীপ্রতিম বসু, উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম পাল, অভীক মজুমদার প্রমুখ।

রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, অধ্যাপক কাজল দে-কে মঙ্গলবার মধ্যরাতে কৃষ্ণনগর কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেন আচার্য। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার স্বার্থে রাজভবনের সামনে মুখ্যমন্ত্রী ধর্নায় বসতে পারেন বলেও ঘোষণা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও তীব্র হয়।

এর আগে গত সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি উড়িয়ে রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার রাজভবনের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, ‘আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপাচার্যই। তাঁর অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মী উপাচার্যের নির্দেশই মেনে চলবেন, অন্য কারও নয়। সরকার তাঁদের নির্দেশ দিতে পারে, কিন্তু সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য নয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি।’ এই নির্দেশিকার ফলে নতুন করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে।