রাজ্য লিড নিউজ

নানুরের পর রামপুরহাট, পুড়িয়ে মারা হল ৮জনকে

বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু সেখের মৃত্যুর পর অগ্নিগর্ভ বীরভূম। ভাদু সেখের মৃত্যুর পর তার অনুগামীরা খুঁজতে শুরু করে ভাদু সেখের হত্যাকারীদের। রাতভর দফায় দফায় চলে বোমাবাজি, বিভিন্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগ। সূত্রের খবর, ১০ টি বাড়িতে আগুন লাগানো হয় রাতেই। বগটুই গ্রামের একটি বাড়িতে ১০ থেকে ১২ জন তখন গভীর ঘুমে নিমগ্ন। সেই সময় সেই বাড়িতে লাগানো হয় আগুন পাশাপাশি ব্যাপক বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। আগুনে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের । যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে।  মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। সোমবার গভীর রাতেই ওই বাড়ি থেকে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার হয় আরো সাতটি মৃতদেহ ।

ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। ভাদু সেখের মৃত্যুর পর এলাকায় ছিল পুলিশের টহলদারি। তা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা কিভাবে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি চালাল এবং পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাল? খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ডাকা হয়েছে ফরেনসিক টিম। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে ব্যাপারেও ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ভাদু সেখের মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোন সংযোগ রয়েছে কিনা!’’

এই ঘটনায় বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘তিন চারটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। টিভি ফেটে আগুন লাগে। দমকল, পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, তার পর বলব।’’ এদিকে বীরভূম জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা অভিযোগ করেন, ‘‘যেখানে শাসকদলের উপপ্রধান নিজে দুষ্কৃতিদের হাতে নিহত হন পাশাপাশি ১০ জন মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?’’ সূত্রের খবর, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি আগামীকাল হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে।