রাজ্য লিড নিউজ

বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় তৃণমূল নেত্রী আলোরানি

ফের বিপাকে তৃণমূল। বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় তৃণমূল নেত্রী আলোরানি সরকারের নাম রয়েছে, তাই আলোরানি নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেননা। এই মর্মে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিল আদালত।

বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। খারিজ করলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২০০৪ ভোটে পরাজিত হন আলোরানি সরকার। তারপরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। পরবর্তীতে আলোরানি সরকার তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হন৷ যদিও সম্প্রতি তৃণমূল তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে।

যদিও বিজেপি প্রথম থেকে অভিযোগ জানায়, আলোরানির আদিবাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। তাঁর স্বামী হরেন্দ্রনাথ সরকার বাংলাদেশের একজন চিকিৎসক। তবে মনোনয়নপত্রে আলোরানি তাঁর স্বামীর কোনও তথ্য দেননি বলে অভিযোগ।

এ বিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, “আইনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আলোরানি সরকার আগে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন, পরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশি না ভারতীয় সেটা বিচার্য বিষয়, মহামান্য আদালতের বিষয়। কিন্তু তিনি যার বিপক্ষে হেরেছিলেন সেই বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার এইট পাস জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে ভোটে দাঁড়ান। মহামান্য আদালত ওনার ওই সার্টিফিকেটের তদন্ত করে দেখুক বলে দাবি তোলে তৃণমূল নেতৃত্ব। আলোরানি সরকার বাংলাদেশি কিনা বিচার হচ্ছে স্বপন বাবুর সার্টিফিকেটের বিচার হবে না?” এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গোপাল শেঠ।

এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য প্রশ্ন তোলেন, ভারতীয় নাগরিক হওয়ার পরও বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় আলোরানির নাম কিভাবে থাকতে পারে? পাশাপাশি ভারতের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যাপারে তিনি প্রশ্ন তুলে আলোরানির ভারতীয় নাগরিকত্ব দ্রুত খারিজের জন্য দাবি তোলেন।