গোষ্ঠীসংঘর্ষে গত কয়েকমাস ধরেই আগুন জ্বলছে বিজেপি-শাসিত মণিপুরে। গোষ্ঠী সংঘর্ষে বিগত কয়েক মাস ধরেই উত্তপ্ত মণিপুর। বাড়ছে ঘরছাড়াদের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে বুধবার মণিপুরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলে দলে রয়েছেন ৫ সাংসদ, ডেরেক ও’ ব্রায়েন, দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার অভিযোগে যখন দিল্লি থেকে বাংলায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, তখন মণিপুরে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে তৃণমূল। মণিপুরে গত কয়েক মাস ধরেই কুকি ও মেইতেই মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলছে। ঘরছাড়া প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এখনও তা থামেনি। বরং দিনের পর দিন অশান্তির মাত্রা বেড়েই চলেছে। এবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই প্রতিনিধিদের পাঠানো হয়েছে বলে তৃণমূলের দাবি। জানা গিয়েছে,তাঁরা মণিপুরে থাকবেন এবং হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখবেন।
উল্লেখ্য,মণিপুরে সংঘর্ষের কারণে ইতিমধ্যে প্রায় ১৪৫জনের প্রাণ গিয়েছে। আহত অসংখ্য। এলাকা ছাড়া প্রায় ৫০ হাজার পরিবার। প্রাণ রক্ষায় আশপাশের রাজ্যে পালিয়েছে বহু পরিবার। হিংসার আগুনে পুড়েছে প্রায় ২৫০টি গির্জা এবং ১৭টি মন্দির। এই পরিস্থিতিতে মণিপুর নিয়ে লাগাতার আক্রমণের পর মুখ খোলেন স্বয়ং সনিয়া গান্ধি। ভিডিও বার্তায় সরকারের কঠোর নিন্দা করেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সরব উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যটির অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর নীরবতায় বারে বারে সরব হয়েছিলেন তিনি। মণিপুরে জাতিদাঙ্গার কারণে চলছে মৃত্যু মিছিল। কয়েক হাজার মানুষ নিয়ে ঘর ছাড়া।