বালুরঘাটে আদিবাসী তিন মহিলাকে দণ্ডিকাণ্ডের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছে আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযান। দক্ষিণ দিনাজপুরে আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে ফেরানো নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। আদিবাসী হেনস্থায় কাঠগড়ায় শাসকদল। শেষে চাপের মুখে শাসকদলের দলের দুই নেতাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। তার প্রতিবাদেই সোমবারের বনধ। আদিবাসীদের ডাকা বনধে সকাল থেকেই শুনশান বালুরঘাট। দক্ষিণ দিনাজপুরের এই শহরে সকাল থেকেই বন্ধ অধিকাংশ দোকানপাট। সকাল থেকেই বনধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা জুড়ে। বালুরঘাট মঙ্গল পুর এলাকায় রাস্থা আটকে অবরোধ করে আদিবাসীরা, যদিও গোটা শহর জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে।
এই বনধের প্রভাব পড়েছে মালদহ এবং আসানসোলেও। সোমবার সকাল ন’টা নাগাদ মালদহের পুরাতন মালদার ৮ মাইল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আদিবাসী সংগঠনের কর্মীরা মিছিল করে অবরোধ করা শুরু করে। মোট পাঁচ দফা দাবি-দাওয়া নিয়ে এদিনের এই বাংলা বনধ আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বালুরঘাটের আদিবাসী মহিলাদের উপর অত্যাচার। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে, আসানসোলের বি এন আর মোড়ে আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল আদিবাসী সমাজ। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রায় মিনিট কুড়ি অবরোধ চলার পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশের তৎপরতায় অবরোধ সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।