রাজ্য

সোনারপুর থেকে শক্তি–প্রদর্শন বিজেপি’‌র

আজ বিজেপি’‌র নবান্ন অভিযান। সেখানে মমতার মাস্টারস্ট্রোকে কুপোকাত বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ আজ নবান্ন ফাঁকা। তাই দলের নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভ থেকেই এদিন সোনারপুর স্টেশনে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে যায়। বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে রেল পুলিশের বচসা শুরু হয়। স্পেশাল ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করলে, বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তখনই রেল পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বেঁধে যায় বিজেপি কর্মীদের। এমনকী রেল পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটও ছোঁড়া হয়। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে চলে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায় পুলিশ। এই গণ্ডগোলে জখম হন বেশ কয়েকজন।
আজ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে, দলের সদর দপ্তরে শুরু হয় জমায়েত। সময় যত গড়িয়েছে, বেড়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলের নেতা কর্মীদের ভিড়। রাস্তার একপাশে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে বড় বড় বাস ও গাড়ি। কোনওটা এসেছে বাঁকুড়া তো কোনওটা পুরুলিয়া থেকে। হাওড়া জুড়ে মিছিল করে নবান্ন যাওয়ার কথা। চারদিক থেকে মিছিল নিয়ে গিয়ে কলকাতা স্তব্ধ করে দেওয়াই টার্গেট গেরুয়া শিবিরের। সেখানে এদিন সোনারপুর দিয়েই নিজেদের শক্তি জাহির করল বিজেপি।
সূত্রের খবর, রাত আড়াইটে নাগাদও গমগম করছিল রাজ্য বিজেপি’‌র সদর দপ্তর। একদিকে পদ্ম শিবির যখন এই অভিযান সফল করতে মরিয়া, তখন অভিযান রুখে দিতে তত্‍পর পুলিশও। মিছিল আটকাতে রাস্তায় রাস্তায় দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেট, গার্ডওয়াল এবং তৈরি জলকামানও। এই অভিযান নিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রশাসন প্রশাসনের ভূমিকা পালন করবে। সুতরাং বিজেপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে পুলিশ আক্রমণাত্মক মেজাজ দেখাবে। এখন দেখার বাবুঘাট দিয়ে গঙ্গার জল কোনদিকে বয়ে যায়।