সোমবার সকালে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হল পাকিস্তানে। সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম একাধিক। এছাড়া দুর্ঘটনার জেরে লাইনচ্যুত হয়েছে দুটি ট্রেনের একাধিক কামরা। ফলে ওই এলাকায় স্তব্ধ রেল পরিষেবা। ইতিমধ্যে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটির খবর পেয়ে টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
পাকিস্তানের ঘোটকিতে রেতি ও দাহরকি রেসস্টেশনের মাঝে স্যর সৈয়দ এক্সপ্রেসের সঙ্গে মিল্লাট এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, স্যার সৈয়দ এক্সপ্রেসটি লাহোরের দিকে যাওয়ার পথে, লাইনচ্যুত মিল্লাট এক্সপ্রেসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। করাচি থেকে সারগোধার দিকে যাচ্ছিল মিল্লাট এক্সপ্রেস। সেই সময় সেটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ওই সময় দুটি ট্রেন মিলিয়ে প্রায় ১১০০ জন যাত্রী ছিলেন। রেল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগে থেকেই লাইনচ্যুত হয়েছিল মিল্লত এক্সপ্রেস। সেই সময়ই করাচি থেকে সারগোধাগামী স্যার সইদ এক্সপ্রেস সোজা এসে ধাক্কা মারে মিল্লতকে। এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলির মধ্যে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যু খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকার্যের প্রক্রিয়াও শুরু করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল।
ঘোটকির ডেপুটি কমিশনার উসমান আবদুল্লাহ জানান, এই রেল দুর্ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। আরও অন্তত ৫০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর কথায়, ট্রেনের কম করে ১৩ থেকে ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। তার মধ্যে ৬-৭টি একেবারে দুমড়ে গিয়েছে। আধিকারিকদের কাছে ট্রেনে আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, গোটা ট্রেনটিতে বহু যাত্রী এখনও আটকে রয়েছেন। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় টুইটে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি লেখেন, ‘আজ সকালে ঘোটকিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে এবং নিহতদের পরিবারকে সহায়তা করতে ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছি। রেল নিরাপত্তার গাফিলতি থাকলে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।’