জেলা

মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত ১৪

ভয়াবহ দুর্ঘটনা ধূপগুড়িতে। মঙ্গলবার রাতে একটি পাথরবোঝাই ডাম্পার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। তার জেরে ওভারলোডেড ডাম্পারের নিচে চাপা পড়ে যাত্রীবোঝাই দু’টি ছোট গাড়ি। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। হাসপাতালে আহত আরও অন্তত ১৫ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ৪ জন শিশু। বৌভাত থেকে ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডার, রানিরহাট মোড় এবং মালবাজারের ডামডিম এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ধূপগুড়ির জলঢাকা সেতুর কাছে ময়নাতলি এলাকায়। পেছন থেকে আসা ছোট গাড়ি ডাম্পারটিতে ধাক্কা মারে। এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ‘ওভার–লোডেড’ ডাম্পারটি উলটে যায়। নিচে চাপা পড়ে দু’টি ছোট গাড়ি। উদ্ধারকাজে নামে পুলিশ, দমকলবাহিনী। তাঁদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। চাপা পড়ে থাকে গাড়ি দু’টিতে মোট কতজন যাত্রী রয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা হাত দিয়েই বোল্ডার সরিয়ে গাড়ি থেকে আহত এবং মৃতদের বের করে আনেন। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত ৯টা নাগাদ তিনটি ছোট গাড়ি করে ধূপগুড়ির ময়নাতলি এলাকায় বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বরপক্ষের আত্মীয়রা। কিন্তু তাদের রুট উল্টো ছিল। সঠিক পথ দিয়েই পাথরবোঝাই ডাম্পার ময়নাগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু মুখোমুখি সংঘর্ষ হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ডাম্পার। সেখানেই উলটে যায় বোল্ডারের গাড়ি আর তার নিচে চাপা পড়ে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে আসেন ধূপগুড়ির বিধায়ক মিতালি রায়, জলপাইগুড়ির এসডিও এবং পুলিশ সুপার।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব নিজে দুর্ঘটনায় জখমদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে দেখেন। এই ঘটনায় টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারপিছু ২ লাখ টাকা এবং আহতদের পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা ঘোষণা করেছেন তিনি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচন সামনে বলেই কি এই উদ্যোগ?‌