দেশ ব্রেকিং নিউজ

ব্যারিকেড ভাঙল কৃষকদের ট্র‌্যাক্টর

সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ট্র্যাক্টর মিছিলে যোগ দিতে দিল্লিতে পৌঁছলেন প্রতিবাদী কৃষকরা। ট্র্যাক্টর, ঘোড়া, ক্রেনে চড়ে দিল্লিতে ঢোকার সময় ব্যারিকেড ভাঙাকে কেন্দ্র করে একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাঁদের। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ, সিংঘু এবং টিকরি সীমান্তে ব্যারিকেড ভেঙে আউটার রিং রোডের দিকে এগিয়ে যায় কৃষকদের মিছিল। নির্ধারিত রুটে ছিল না এই রাস্তা।
কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ট্র্যাক্টর মিছিলে অংশ নেওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার কৃষক দিল্লিতে প্রবেশ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যেমন ব্যারিকেড ভাঙা এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া অভিযোগ উঠেছে, তেমন বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করার খবর পাওয়া মিলেছে। প্রতিবাদী কৃষকদের র‍্যালিতে উত্তপ্ত দিল্লির রাজপথ। শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা থাকলেও, প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালেই ব্যারিকেড ভাঙলেন প্রতিবাদী কৃষকরা।
দিল্লি–হরিয়ানার গাজিপুর ও টিকরি সীমানায় ব্যারিকেড ভেঙে দেন কৃষকরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বেঁধেছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। কেন্দ্রীয় দিল্লির আইটিওতে বিক্ষোভকারী কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে। উত্তর–পূর্ব দিল্লিতে আবার পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, সঞ্জয় গান্ধী ট্রান্সপোর্ট নগরে কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানের পরই ট্র‌্যাক্টর র‍্যালি হবে। দিল্লি প্রশাসন আগেই জানিয়ে দিয়েছে কৃষকদের ট্র‌্যাক্টর র‍্যালি কোনও মতেই মধ্য দিল্লির দিকে যেতে পারবে না। এমনকী এই কর্মসূচি দিল্লি সীমানার নিকটবর্তী স্থানেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। দিল্লির অক্ষরধামের একটি নাটকীয় ভিডিও’‌তে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ ওভারব্রিজ থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ছে, আর রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা নিজেদের বাঁচাতে নিরাপদ জায়গা খুঁজছিলেন। মুকারবা চকে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। নাঙ্গলৌই এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, সকাল থেকেই হাজার হাজার কৃষক জড়ো হয়েছেন বিভিন্ন সীমান্তে। দিল্লি পুলিশ রাজপথে সরকারি প্যারেডের পর কৃষকদের মিছিল শুরু করার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত কৃষকরা সকাল থেকেই শুরু করে দিয়েছেন প্রতিবাদ। যা পরে আরও বড় আকার ধারণ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একাধিক মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ এবং প্রস্থানের পথ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন দিল্লি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়েছে, ইন্দ্রপ্রস্থ মেট্রো স্টেশন এবং গ্রিন লাইনের সমস্ত স্টেশনগুলির প্রবেশ এবং বাহির গেটগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া সময়পুর বদলি, রোহিনী সেক্টর ১৮/১৯, হায়দরপুর বদলি মোড়, জাহাঙ্গির পুরী, আদর্শনগর, আজাদপুর, মডেল টাউন, জিটিবি নগর, বিশ্ববিদ্যালয়, বিধানসভা এবং সিভিল লাইনের ভিতরে ঢোকা এবং বেরনোর গেটগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।