দার্জিলিংয়ের আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে চলা হুড খোলা জিপে রাজেশ খান্নার ‘লিপে’ মেরে স্বপ্ন কি রানী কব আয়েগি তু গান আজও বহু বাঙালির হৃদয়ে রোমান্স জাগায়। সেলুলয়েডের পর্দায় পাশ দিয়ে চলা টয়ট্রেনে সওয়ারি ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। পরিচালকের ক্যামেরায় উপর থেকে নেওয়া সেই শটে একসঙ্গে ধরা পড়েছে টয়ট্রেনের জানালায় বসে শর্মিলা আর চলন্ত জিপে সওয়ারি মাউথ অর্গান বাজানো সেকালের সুপার হিরো রাজেশ খান্না। হিট সেই ছবির নাম— ‘আরাধনা’।
ওই ছবির বিশেষ দৃশ্যের শুটিং হয়েছিল দার্জিলিং যাওয়ার পাহাড়ি পথে। তারপর আরও অনেক ছবির শুটিং হয়েছে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি পথে টয় ট্রেন, বাতাসিয়া লুপ, ঘুম স্টেশন, টাইগার হিলে। কিন্তু করোনার জেরে বছরভর প্রকৃতির এই সৌন্দর্য ব্যবহারে লাগাম টানতে হয়েছে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের। কারণ, অনুমতি নিতে হলে উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের হেড অফিস অসমের মালিগাঁওতে যেতে হতো। এনইএফ রেলওয়ে ঘোষণা করে, সেই জট কেটেছে। এখন থেকে অনলাইনেই টয়ট্রেন–সহ দার্জিলিংয়ের স্টেশনে শুটিং করার অনুমতি দেওয়া হবে।
দীর্ঘ কয়েক মাসে রোজগারে টান পড়েছে পাহাড় ডুয়ার্সের মধ্যে দিয়ে চলা সেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলেরও। কারণ যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ কমেছে। রোজগার কমেছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঠাসা এই রেলপথে সিনেমা প্রোডাকশন হাউসগুলোও কম আসায়। কারণ করোনাভাইরাস। শুধু সিনেমার সঙ্গে জড়িতরা নয়, খুশি দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি পথ, টয়ট্রেন, বাতাসিয়া লুপ–সহ আরও অনেক আকর্ষণীয় স্থানকে ঘিরে সিরিয়াল, ডকুমেন্টরি করা মানুষেরাও। তাই সংক্রমণ কমতেই পাহাড়, ডুয়ার্স অঞ্চলের বুক চিরে চলা রেলপথের রোজগার বাড়াতে তৎপরতা শুরু করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘দার্জিলিং হিমালয়ান রেলপথের অন্তর্ভুক্ত রেলপথে শুটিং করার ক্ষেত্রে আরও সহজতর করা হয়েছে বিধিব্যবস্থা। এখন অনলাইনেই প্রোডাকশন হাউসগুলো শুটিং এর জন্য আবেদন করতে পারবে। সশরীরে গুয়াহাটিতে না গিয়েই সেই ব্যবস্থাপনা সম্ভব হবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন করলেই কাজ হবে।’
You must be logged in to post a comment.