এবার শর্তসাপেক্ষে যাওয়া যাবে দীঘা! তারাপীঠ, বোলপুর, জলদাপাড়ার পর এবার বাঙালির অতিপ্রিয় এই সমুদ্রসৈকতেও ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের শংসাপত্র কিংবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট ছাড়া হোটেলে ওঠা যাবে না। দীঘা–শঙ্করপুর, তাজপুর, মন্দারমণি সবক’টি পর্যটনকেন্দ্রেই কঠোর নিয়ম চালুর সিদ্ধান্ত নিল কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। মহকুমাশাসক আদিত্যবিক্রম হিরানি এই সংক্রান্ত নোটিস ইস্যু করেছেন। সব হোটেল, লজ এবং হোম স্টে কর্তৃপক্ষকে পর্যটকদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত নথি জমা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন ভিড় বাড়ছে সমুদ্রসৈকতে। তাই করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘দীঘায় প্রচুর পর্যটক সমাগম হচ্ছে। অনেকেই কোভিড নিয়ম মানছেন না। তাই পর্যটকদের হোটেল, লজে ওঠার জন্য ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজের শংসাপত্র কিংবা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এর ফলে পর্যটক, ব্যবসায়ী ও হোটেল কর্মী—সব পক্ষেরই ভালো হবে। করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মী থেকে পুলিস-প্রশাসন অনবরত কাজ করে চলছে। এই নিয়ম চালু না করলে এত পরিশ্রমের কোনও মূল্য থাকবে না।’
কাঁথির মহকুমা শাসক আদিত্যবিক্রম হিরানি জানান, করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রত্যেককে এই নির্দেশ মানতেই হবে। প্রতিটি হোটেল, লজে বিভিন্ন ফ্লোর, করিডর, হল, ডাইনিং হল, রিসেপশন এবং লনে ঝোলানো থাকবে নয়া এই বিজ্ঞপ্তি। কোনও হোটেল কর্তৃপক্ষ ওই নোটিস অমান্য করলে মহামারী আইনে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘পর্যটকদের হোটেলে ওঠার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নোটিস ইস্যু করেছেন মহকুমা শাসক। এর ফলে পর্যটক সংখ্যা কমবে কি না, সেটা এখনই বলা কঠিন। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’