রাজ্য

মিনি টর্নেডোয় লন্ডভণ্ড নারায়ণগড়

ফের ‘টর্নেডো’ রাজ্যে। আর তার জেরে লন্ডভন্ড পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের একাংশ। চাল উড়ল শতাধিক বাড়ির। ভেঙে পড়েছে বহু মাটির বাড়িও। আচমকাই নারায়ণগড় ব্লকের পুরিচক মৌজায় সকাল দশটা নাগাদ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। ঝড় ওঠে প্রবল। মিনিট কয়েক স্থায়ী হয় ঝড়টি। কিন্তু মুহূর্তের তাণ্ডবে পুরিচকের মদন মোহন চক এলাকায় তছনছ হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ভেঙে পড়ে দোকানপাট। উপড়ে যায় গাছপালা। শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। রাত থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টিতে জলমগ্ন একাধিক জেলা। পশ্চিম মেদিনীপুরও ব্যতিক্রম নয়। টর্নেডোয় ধূলিসাৎ হয়ে গেল গোটা এলাকা। আগে একইরকম টর্নেডোয় লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল বসিরহাট এলাকার একাংশ।

সপ্তাহের শুরু থেকেই প্রবল বৃষ্টিতে ভেসেছে বাংলার একাংশ। বুধবারও দিনভর মেঘলা আকাশ।সঙ্গে হালকা বৃষ্টি চলছে। বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস। তবে সপ্তাহান্তে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাবনার কথা শুনিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামী সপ্তাহে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে।

উত্তর ছত্তিশগড় ছাড়িয়ে এটির অবস্থান এখন পূর্ব মধ্যপ্রদেশে। এদিকে গুজরাটে রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত। আবহাওয়া দপ্তরের আশঙ্কা, শুক্রবার উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নতুন করে ঘূর্ণাবর্ত। যেটি উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম দিকে এগিয়ে ওড়িশা ও বাংলা উপকূলের দিকে আসবে শনি-রবিবার।
উল্লেখ্য, সোমবার কয়েক সেকেন্ডের টর্নেডোর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড বসিরহাটের হাড়োয়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয় হাড়োয়ার শালিপুর-সহ একাধিক এলাকা। প্রাণহানি না হলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এক কিলোমিটারের মধ্যে, প্রচুর গাছপালা ভেঙে উপড়ে পড়ে।