জেলা

উপকূলে ইয়াস–দাপট, শহরে টর্নেডো

ইয়াসের ল্যান্ডফল হয়েছে ইতিমধ্যেই। কলকাতার একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হচ্ছে। তবে শহরের কোনও কোনও জায়গায় টর্নেডো হতে পারে বলে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, দুপুর ১২টার আশেপাশে স্থানীয়ভাবে সেই টর্নেডো হতে পারে। শহরবাসীকে ওই সময় বাড়ি থেকে না বেরনোর অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নির্ধারিত সময়েই আগে ওড়িশার আছড়ে পড়েছে ঘুর্ণিঝড় ইয়াস। তার প্রভাবে বিপর্যস্ত বাংলার উপকূলবর্তী এলাকবর্তী এলাকা। দিঘার সমুদ্র প্রবল জলোচ্ছ্বাস, ফুঁসছে সুন্দরবনের একাধিক নদী। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নেমেছে সেনাবাহিনী। গোসাবার পাখিরালয়ে বাঁধ ভেঙে ইতিমধ্যেই জল ঢুকতে শুরু করে গ্রামে। পরিস্থিতি ভয়াবহ কুলতলিতেও। মঙ্গলবারই রাজ্যে অপ্রত্যাশিতভাবে টর্নেডোর দাপটে ঘর–বাড়ি তছনছ করে দিয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার হালিশহরের প্রসাদ নগর ও বীজপুর থানার বালিভাড়া ইটখোলা এলাকায় আচমকাই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় এলাকা। উড়ে যায় ২০০টি বাড়ির টিনের চাল। ভেঙে যায় দরজার জানলার কাচও। আহত হন কমপক্ষে ২৫ জন। আচমকাই দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান, ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ এগিয়ে আসছে। হেলিকপ্টারের ভেঙে পড়ার মতো প্রচণ্ড শব্দে ভরে যায় এলাকা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টা এলাকায় জলের তোড়ে গ্রামে জল ঢুকেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। ১৫ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ঘণ্টায় ৭৫ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কলকাতা ও শহরতলির এলাকায় স্থানীয়ভাবে ঠর্নেডো হতে পারে! সেকারণে শহরবাসী ওই সময়ে বাড়ির বাইরে না বেরনোর অনুরোধ করেছেন তিনি। ইয়াসের আশঙ্কায় শহরের ৮টি উড়ালপুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ের সময় উড়ালপুলে কোনও গাড়ি চলবে না। এছাড়া গত কাল রাত থেকেই কলকাতার ব্যস্ততম এলাকাগুলিতে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়, যাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কোনও অঘটন না ঘটে।