একের পর এক মানুষের মৃত্যু। স্বজন হারানো কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে ঘরে ঘরে। মৃতদেহ রাখার আর জায়গা নেই। এটা কোনও ফিল্মের চিত্রনাট্য নয়। করোনার থাবায় এটাই এখন ভয়াবহ পরিস্থিতি ইকুয়েডরে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সেখানে মৃত্যুর মিছিল চলছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত মানুষের মৃতদেহ সরানোর কাজ করছে প্রশাসন। রাস্তায় মিলছে বেওয়ারিশ লাশ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁদের দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালের ভয়াবহ অবস্থার কথা বর্ণনা করেছেন সেখানকার চিকিৎসক–স্বাস্থ্যকর্মীরা। মর্গে উপচে পড়ছে লাশ। বাধ্য হয়ে মৃতদেহ রাখা হচ্ছে বাথরুমে।
এদিকে লাতিন আমেরিকায় করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর অন্যতম কেন্দ্রস্থল গয়াকিল। সেখানের একটি হাসপাতালের ভয়াবহ অবস্থা প্রকাশ্যে এসেছে। বেড নেই। বহু মানুষকে বেড দেওয়া যায়নি। বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। চলছে আক্রান্তদের হাহাকার। বহু মানুষ হাসপাতালের বাইরেও মারা গিয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মর্গের কর্মীরা আর লাশ নিতে চাইছে না। অগত্যা স্থান হয়েছে বাথরুমে। গড়ে ২০টি মৃতদেহ হাসপাতালের বাথরুমে রাখা হচ্ছে বলে খবর।
অন্যদিকে ইকুয়েডরের সরকার জানিয়েছে, ২৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। প্রায় ৬০০ জন মারা গিয়েছেন। যদিও চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এই হিসাবকে ভুল বলে দাবি করছেন। ইকুয়েডরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। এপ্রিলের শুরুতেই ইকুয়েডরের গায়াজ প্রদেশে মোট ৬ হাজার ৭০০ মানুষ মারা গিয়েছেন। সরকার তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকরা। একজন নার্স জানান, হাসপাতালের সব জায়গায় মৃতদেহ রাখা হয়েছে। জরুরি বিভাগে লাশ ভর্তি। এখন ঈশ্বরই ভরসা বলে মনে করছেন তাঁরা।
ছবি—এএফপি