মাঙ্কিপক্স,করোনার পাশাপাশি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে টম্যাটো ফ্লু। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে টম্যাটো ফ্লু নিয়ে সতর্ক করল কেন্দ্র। এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত, তা নিয়ে এবার বিস্তারিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, টম্যাটো ফ্লুয়ের সঙ্গে করোনা, মাঙ্কিপক্স বা ডেঙ্গির কোনরকম মিল নেই। এই রোগের উপসর্গ সম্পূর্ণ আলাদা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, টম্যাটো ফ্লু’র হাত থেকে বাঁচতে হলে বাড়ির আশপাশে আবর্জনা জমতে দেওয়া যাবে না। নির্দিষ্ট স্যানিটাইজেশন বজায় রাখতে হবে। শরীরের তাপমাত্রা আচমকাই বেড়ে যাওয়া, গায়ে ব়্যাশ, মুখ ও গলা ফুলে যাওয়া, খিদে না পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলেই পরীক্ষা করাতে হবে। এমনকী শরীরে টম্যাটো ফ্লু’র এই উপসর্গ দেখা দিলে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাতদিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের উপর নজর দিতে হবে। কেননা ১ থেকে ১০ বছরের শিশুরাই এই টম্যাটো ফ্লু’তে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত এই টম্যাটো ফ্লু’র নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকদের কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি জানা নেই। তাই চিকিৎসকেরা উপসর্গের ওপর ভিত্তি করেই এই রোগের চিকিৎসা চালাচ্ছে। পাশাপাশি এই টম্যাটো ফ্লু যাতে সংক্রামক না হয়, তা নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনবরত সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে।
অন্যদিকে তামিলনাড়ুতেও টম্যাটো ফ্লু নিয়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। প্রতিবেশী রাজ্য থেকে আসা শিশুদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। অধিকাংশ রোগীর দেহে দেখা যাচ্ছে ক্ষুদ্রাকৃতি লাল ফোস্কার মতো ক্ষত। ক্ষুদ্রাকৃতি টম্যাটোর মতো ফোস্কার কারণেই রোগটির নাম ‘টম্যাটো ফ্লু’।
উল্লেখ্য, গত ৬ মে কেরালার কোল্লাম জেলায় এক শিশুর শরীরে প্রথম এই সংক্রমণ ধরা পড়ে। এখনও পর্যন্ত মোট ৮২ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে টম্যাটো ফ্লু। তার মধ্যে বেশিরভাগই পাঁচ বছরের বা তার কম বয়সের শিশু রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই টম্যাটো ফ্লু’র প্রভাব পড়েছে তামিলনাড়ু, কর্নাটক, হরিয়ানা এবং ওডিশাতে।