খেলাধুলা ব্রেকিং নিউজ

টোকিও অলিমপিক্স আয়োজন নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ জাপানে

আর মাত্র সাত দিন পর শুরু হচ্ছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’ অলিম্পিকের আসর। এবারের অলিম্পিক্স হচ্ছে জাপানের রাজধানী টোকিওতে। কিন্তু অলিম্পিক্স আয়োজন করা নিয়ে বিক্ষোভে উত্তাল গোটা জাপান। সেদেশের সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, দেশে অগণিত মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন, এখনও বহু মানুষ এই ভাইরাসের দাপটে আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানে কীভাবে অলিম্পিক্স আয়োজন করা হচ্ছে? পরিস্থিতি রোজই খারাপের দিকে যাচ্ছে, অথচ জাপান সরকার অলিম্পিক্স আয়োজন করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন জাপানবাসী। বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন, কোথাও জ্বলছে আগুন।

 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করতে প্রয়োজন বিপুল অর্থ। আবার প্রতিযোগী ও তাঁদের সঙ্গীসাথী নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ টোকিও শহরে পা রাখবেন। আবার বিভিন্ন টেলিভিশন, সংবাদমাধ্যমের লোকজনও জাপানে আসবেন। কিন্তু এই করোনাকালে যা সংক্রমণ বৃদ্ধি করার জন্য যথেষ্ট। হিসেব বলছে, চলতি অলিম্পিক্সে ১৫ হাজার ৪০০ জন অ্যাথলিট ছাড়াও প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ, সম্প্রচারকারী চ্যানেলের লোকজন টোকিয়োতে পা রাখতে চলেছেন। এখানেই আপত্তি জাপানবাসীর।

 

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (IOC) প্রেসিডেন্ট থমাস বাখকে ঘিরেই মূলত বিক্ষোভ চলছে জাপানে। তাঁর একদিনের হিরোশিমা সফরকালে কয়েক হাজার প্রতিবাদকারী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টোকিওতে। যদিও বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে অনেকটাই দূরে রাখা হয়েছিল। বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। তবুও তাদেরকে “গো ব্যাক বাখ” এবং “এখানে আপনাকে স্বাগত জানানো হয়নি। গো ব্যাক” বলে চিৎকার শোনা গিয়েছে। এছাড়াও ‘অলিম্পিক বাতিল হোক’ সহ একাধিক ব্যানার-পোস্টার নিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান জাপানের মানুষ। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে, যে টোকিওতে ইমারজেন্সি ঘোষণা করতে হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। তবে এরমধ্যেই টোকিও অলিম্পিক ভিলেজে করোনার থাবা পড়েছে। জানা জকচ্ছে একজন প্রতিযোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন গেমস ভিলেজে।