জেলা ব্রেকিং নিউজ

বিশ্বকর্মার আরাধনায় আজ মেতে উঠবে গোটা দেশবাসী

যন্ত্রের দেবতা বিশ্বকর্মা। তারই আরাধনায় আজ মেতে উঠবে গোটা দেশবাসী। শ্রমিকদের আরাধ্য দেব বিশ্বকর্মা। সুখ সমৃদ্ধির লাভের আশায় বিশ্বকর্মা আরাধনায় নতুন ছন্দে সেজে ওঠে সব শিল্পাঞ্চল। প্রতিবছর বাহারি আলোকসজ্জা ও রকমারি মন্ডপসজ্জায় সেজে উঠতো শিল্পাঞ্চলের জুটমিল থেকে ছোট বড় মাঝারি কলকারখানা গুলি। যন্ত্রের দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে শিল্পাঞ্চলের পাড়া থেকে অলিগলিতে করা হতো প্যান্ডেল৷ আলোর রোশনাই, বাজনা ৷ নিজেদের সামর্থ্টুকুই দিয়ে শ্রমিকেরা পুজোর আয়োজন করতেন৷

দেশের তথা পশ্চিমবঙ্গের জুটশিল্প কলকারখানার কেন্দ্রস্থল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। একসময় আজকের দিনে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল পূজোর সাজে সেজে উঠত৷ তবে আজ বন্ধ শিল্পাঞ্চলের একাধিক কলকারখানা৷ একসময় যেখানে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন উৎসবের আনন্দে মুখরিত হয়ে থাকত গোটা এলাকা সেই এলাকাই আজ শান্ত৷ তার ওপর করোনার চোখ রাঙানি ও লকডাউনের কারণে বিগত দু-তিন বছর শিল্পাঞ্চলের বিশ্বকর্মার আরাধনা অনেকটাই ম্লান ছিল। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোড়ার মতো উৎপাদন হ্রাসের কারণে বেশকিছু কলকারখানা বছরের অধিকাংশ সময় স্তব্ধ হয়ে যায়।

অতিমারি কাটিয়ে উঠে এ বছর শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিশ্বকর্মার আরাধনা অনেকটাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো। শিল্পাঞ্চলের পুজোর বাজারেও চিত্রটা একই রকম। প্রতিমা ব্যবসায়ীরা বিশ্বকর্মা প্রতিমার পসরা সাজিয়ে বসলেও ক্রেতার সংখ্যা হাতে গোনা। মিল কলকারখানা গুলিতে তৈরি হয়েছে একচালার প্যান্ডেল। গতকাল কোথাও প্রতিমা এসেছে, কোথাও আবার আজ আসবে প্রতিমা। এই পুজোকে কেন্দ্র করে কোন বাড়তি ছুটির ব্যবস্থা নেই জুটমিল গুলিতে। পুজোর পর যন্ত্রাংশ যথারীতি চালু থাকবে শ্রমিকদের জন্য। শ্রমজীবীদের মান রাখতেই যেন এবছর দায়সারা পুজো কলকারখানা গুলিতে।

স্থানীয় সমাজকর্মী মহেশ সাউ’য়ের মতে, “একের পর এক বড় থেকে মাঝারি শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে এই বন্ধ কারখানার শ্রমিকরা আজ পর্যন্ত কোন আশার আলো দেখতে পাননি। ফলে কেন্দ্রীয় অর্থনীতি ও মূল্যবৃদ্ধির ছোবলে শিল্পাঞ্চলের বিশ্বকর্মা আরাধনা অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে।”