আন্তর্জাতিক ব্রেকিং নিউজ

আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন

বাংলাদেশের মানুষের বহুপ্রতীক্ষিত এক স্বপ্নের নাম পদ্মা সেতু। যা কেবল বাংলাদেশের রাজধানী এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে না বরং ভারতসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংযোগ ও বাণিজ্যেও অবদান রাখবে। স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতুকে বরণ করে নিতে এখন উদ্বেলিত গোটা বাংলাদেশ। শনিবার লাখ লাখ জনতা আর দেশি-বিদেশি বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে এই সেতুর উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধের পর নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু, যা এক করে দিয়েছে গোটা বাংলাদেশকে। প্রমত্তা পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো সেতু জানান দিচ্ছে বাংলাদেশের দুর্নিবার অগ্রযাত্রার ।

পরিসংখ্যান আর বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সেতু গোটা বাংলাদেশের অর্থনীতির চেহারা আমূল বদলে দেবে।  দক্ষিণ অঞ্চলে গড়ে উঠবে ব্যাপক শিল্পকারখানা, বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের, সহজ হবে আমদানি রপ্তানি। জিডিপিতে অগ্রগতির হার  বাড়াবে অন্তত দুই  শতাংশ।

শুধু বাংলাদেশ নয় এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংযোগ ও বাণিজ্যেও অবদান রাখবে এই সেতু।  বড় ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ-ভারত ব্যবসা-বাণিজ্যের সেতুবন্ধন হিসেবে। ঢাকা – কলকাতা মধ্যে যাতায়াতে সময় বাঁচবে প্রায় ৪ ঘণ্টা।

পদ্মা সেতুর বহুমাত্রিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সেতুর চেয়েও বড় আয়োজন চলছে দুই পার ঘিরে। বিদ্যমান দুই লেনের সড়ক হয়েছে চার লেন। নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক, দৃষ্টিনন্দন উড়ালসড়ক। নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে অত্যাধুনিক সুবিধা সংবলিত দেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র, জাদুঘর আর ব্যাপক পরিসরের গড়ে তোলা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র।

এসব বাস্তবায়ন হলে পদ্মার দুই তীর পরিণত হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। নান্দনিকতা ও আধুনিকতার নিরিখে যে কোনো নগর ও শহরকে পেছনে ফেলবে ওই এলাকা, দেখে মনে হবে- এ যেন বাংলাদেশের ভেতর এক টুকরো সিঙ্গাপুর।