রাজ্য

অনুমতি ছাড়াই মিছিল বিজেপি’‌র

কলকাতায় ফের বিজেপির ‘মেগা মিছিল’। সোমবারের এই রোড শো–তে থাকার কথা বিজেপি’‌র রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং দলের কলকাতা জোনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। যানজটের কথা ভেবে পুলিশ এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি। তাই লালবাজারের অনুমতি ছাড়াই, আজ কলকাতায় মিছিল করবে বিজেপি। এই নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয় বিজেপি নেতৃত্বের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, শঙ্কুদেব পণ্ডা, দেবজিত্‍ সরকার ও রাকেশ সিং। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আজকের মিছিল হবেই।
দীর্ঘদিন পর রাস্তায় নামছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন। কয়েকদিন আগে বিজেপি তাঁকে কলকাতা সাংগঠনিক জোনের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে। মহানগরের ‘মেগা মিছিল’ ঘিরে তাই বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের বাড়তি উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। অনুমতি না দেওয়া নিয়ে পুলিশ–প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি। ডায়মন্ডহারবার রোড দিয়ে মাঝেরহাট ব্রিজ, মহাবীর তলা হয়ে বিজেপি’‌র সদর দপ্তর মুরলিধর সেন লেন পর্যন্ত মিছিল হওয়ার কথা। বিজেপি’‌র হয়ে এই প্রথম ময়দানে নামার কথা শোভন–বৈশাখী জুটির। যদিও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের মিছিলে থাকবেন কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
সূত্রের খবর, তিনি নাকি বিজেপি’‌র সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এখন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, দলের মিডিয়া সেল আগেই জানিয়েছে, দুপুর আড়াইটে নাগাদ মিছিল শুরু হবে। আলিপুর চিড়িয়াখানার কাছে জড়ো হবেন বিজেপি নেতা–কর্মী–সমর্থকরা। মাঝেরহাট ব্রিজ, মহাবীরতলা, টালিগঞ্জ, হাজরা হয়ে মুরলীধর সেন লেনে বিজেপি রাজ্য কার্যালয়ের কাছে শেষ হবে মিছিল। কিছুদিন আগে যুব মোর্চার ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল কলকাতা ও হাওড়ার কিছু অংশ। পুলিশ ও গেরুয়া সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি দেখা গিয়েছিল। লালবাজার দাবি করেছিল অনুমতি না নিয়ে ওই অভিযান করা হয়। এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘‌আমি রোজ মিছিল করি। অনুমতি চাইতে গেলে পুলিশ দেয় না। তাই অনুমতি ছাড়াই আমি মিছিল করি। সেটাই করা উচিত।’‌